শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্ব পালেগ্রামস্থ পালেগ্রাম হাকিম মিঞা শাহ্ (রহ) সিনিয়র মাদরাসার হেফজখানার এক ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের (২৬) বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা ও তাকে গ্রেফতার করেছে বাঁশখালী থানা পুলিশ।
নির্যাতিত শিশু ছাত্রের (১০) মাতা মোছাম্মৎ তানিয়া আক্তার বাদি হয়ে শনিবার রাতে এই মামলা করেন। গ্রেফতার হওয়া আসামী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মিনজিরিতলা দলি বাড়ির ফরিদ আহমদের পুত্র।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ দিবাগত রাতে খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে ওই ছাত্রকে মাদরাসার শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম রাত ১টার সময় ঘুম থেকে ডেকে তার শোবার ঘরে নিয়ে যায়। এরপর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এই কলঙ্কিত শিক্ষক। অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রচন্ড ব্যথা সহ্য করতে না পেরে কান্নাকাটি করলে তার সহপাঠি মো. নাঈম উদ্দিন কারণ জানতে চাইলে ঘটনার বিষয়ে তাকে অবহিত করে। সর্বশেষ ২৩ মার্চ রমজান উপলক্ষে মাদরাসায় ছুটি হলে তার মা তাকে নিয়ে আসতে গেলে মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে। বাড়িতে নিয়ে আসলে শিশুটি হাফেজি শিক্ষক কর্তৃক যৌন নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে। ছেলেটির মা তানিয়া আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে জিজ্ঞাসা করার পর সে বলে গত দু’মাস ধরে আমার ছেলেকে মাদরাসার হোস্টেলে ভাল করে ঘুমাতে দেয়নি ওই পাষণ্ড শিক্ষক জাহাঙ্গীর। সে প্রতিনিয়ত আমার ছেলেকে শারীরিক নির্যাতন করেছে। আমাদের অভিযোগের পর বাঁশখালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় ওই ছাত্রের মা বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করে আজ রোববার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।