রোববার (২ জুন) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বাঁশখালী পৌরসভাস্থ জলদী আধুনিক হসপিটাল লিমিটেডে স্বাভাবিক ডেলিভারিতে এই ঘটনা ঘটে। তিন সন্তানের মা হওয়া প্রসূতির নাম শাহনা বেগম। শাহনা বেগম উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাকের হোসেনের স্ত্রী।
হসপিটালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অলি আহমদের তত্বাবধানে স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছেন একই হাসপাতালের সিনিয়র নার্স (মেট্রন) হাছিনা আক্তার। জানা গেছে, আগে শাহনা বেগমের আরও তিনজন কন্যা সন্তান রয়েছে। এটি তার চতুর্থ স্বাভাবিক ডেলিভারি।
রোববার রাত ৯ টার দিকে শাহনা বেগম প্রসব ব্যাথা নিয়ে জলদী আধুনিক হসপিটালে ভর্তি হন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বাভাবিকভাবে প্রথমে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন শাহানা। এর কয়েক মিনিটের ব্যবধানে একে একে আরও দুটি সন্তান প্রসব হয় তার। অপর দুই নবজাতকও ছেলে।’
ডা. অলি আহমদ বলেন, ‘আমাদের এখানে বিশেষ একটি ডেলিভারী টিম আছে। আমার তত্বাবধানে টিমের সহায়তায় তিন নবজাতকের নর্মাল ডেলিভারী সম্পন্ন হয়। তিন নবজাতকের ওজন দেড় কেজি করে যা স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে কম। মা ও নবজাতকরা সুস্থ আছেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের রিলিজ দেওয়া হবে।’
শাহনা বেগমের স্বামী জাকের হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে প্রথমে উপজেলার একটি বেসরকারী হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাফী করে টু-ইন বেবী বলে চট্টগ্রাম শহরে রেফার করেন। আমাদের আর্থিক সমস্যার কারণে শহরে না গিয়ে পরে জলদী আধুনিক হসপিটালে চলে আসি। আমাদের অপারগতার কথা ভেবে তারা ভর্তি দিলে ভর্তির অল্প সময়ের ব্যবধানে নর্মাল ডেলিভারীতে তিন সন্তানের জন্ম হয়।’
হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শোয়াইবুর রহমান জানান, ‘জলদী আধুনিক হসপিটাল অত্যন্ত সুনামের সাথে কম খরচে নর্মাল ডেলিভারী সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ২০০৬ সাল থেকে এই হাসপাতালের যাত্রা। বাঁশখালীতে আমরা সকল ধরণের লাইসেন্স ও সরকারি বিধি পূর্ণাঙ্গভাবে মেনে সুনামের সাথে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অভিজ্ঞ ডাক্তার ও বিশেষ একটা ডেলিভারী টিম রয়েছে। নরমাল ডেলিভারিতে সমগ্র বাঁশখালী জুড়ে আমাদের হসপিটালের যথেষ্ট সুমাম রয়েছে।’