বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় রোপণের উদ্দেশ্যে এসব চারা গ্রহণ করেন ১৫ টি সামাজিক সংগঠন। সংগঠনগুলো হচ্ছে হাজীগাঁও অগ্রণী ক্লাব, পুকুরিয়া; স্বপ্নতরী সংঘ, কাথরিয়া; আলোকিত রত্নপুর, বাহারচরা; রত্নপুর তরুণ শেকড়, বাহারচরা; বাঁশখালা একতা সংঘ, বাহারচরা; উই ফর য়্যু, কাথরিয়া; চতুষ্কোণ, পুইছড়ি; খানখানাবাদ যুব উন্নয়ন পরিষদ; আল কুরআন একাডেমি, রত্নপুর; পূর্ব কাথরিয়া স্বপ্নসিঁড়ি ক্লাব, কাথরিয়া; বোঁচা ফকির স্মৃতি সংঘ বাহারচরা; দক্ষিণ ইলশা আলোকবর্তিকা, বাহারচরা; বরুমছড়া জাগরণী, পুকুরিয়া; ১নং পাড়া সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, ছনুয়া ও দীপশিখা পাঠাগার।
বিতরণকৃত চারাগুলোর মধ্যে বকাইন নীম, অর্জুন, হিজল, জলপাই, পেয়ারা, কাঠবাদাম, বেল, তেতুল, জারুল, জাম্বুরা, লেবু, সফেদা সহ ১২ প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রয়েছে।
উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেন আবহাওয়াবিদ আবুল মনসুর, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবদুল্লাহ, ইউপি সদস্য এনামুল হক, বাঁশখালা একতা সংঘের সভাপতি রিয়াদ ও সেক্রেটারি রোকন সহ সংঘের সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৩ বছরের ধারাবাহিকতায় এবার চতুর্থ বারের মতো এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাঁশখালীতে প্রায় ৪০ হাজার চারা রোপণের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলো।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন পিপিএম বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সবুজায়নের বিকল্প নেই। উপকূলীয় এলাকা হিসেবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি। সেই তাগিদ থেকে সবুজায়নের উদ্যোগ। তাছাড়া বাঁশখালীতে তারুণ্যনির্ভর সামাজিক সংগঠনগুলো অত্যন্ত সক্রিয়৷ তাদেরকে সবুজায়নের মতো ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা গেলে দেশ উপকৃত হবে। বিদ্যাবাড়ির ব্যবস্থাপনায় এই কর্মসূচি ইনশাআল্লাহ আগামীতেও চলমান থাকবে।’