নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালীর সন্তান কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন পিপিএম’র উদ্যোগে বাঁশখালীর নানন্দিক পাঠাগার বিদ্যাবাড়ি’র ব্যবস্থাপনায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিভিন্ন সংগঠনের মাঝে ১০ হাজার ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ বিতরণ করা হয়েছে। বাহারচরা ইউনিয়নের বাঁশখালা গ্রামস্থ মীর বাড়ী বায়তুর রহমত জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ৭ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের হাতে এসব চারা হস্তান্তর করেন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্যোক্তা জসিম উদ্দীন পিপিএম।
বাঁশখালীর বিভিন্ন এলাকায় রোপণের উদ্দেশ্যে এসব চারা গ্রহণ করেন ১৫ টি সামাজিক সংগঠন। সংগঠনগুলো হচ্ছে হাজীগাঁও অগ্রণী ক্লাব, পুকুরিয়া; স্বপ্নতরী সংঘ, কাথরিয়া; আলোকিত রত্নপুর, বাহারচরা; রত্নপুর তরুণ শেকড়, বাহারচরা; বাঁশখালা একতা সংঘ, বাহারচরা; উই ফর য়্যু, কাথরিয়া; চতুষ্কোণ, পুইছড়ি; খানখানাবাদ যুব উন্নয়ন পরিষদ; আল কুরআন একাডেমি, রত্নপুর; পূর্ব কাথরিয়া স্বপ্নসিঁড়ি ক্লাব, কাথরিয়া; বোঁচা ফকির স্মৃতি সংঘ বাহারচরা; দক্ষিণ ইলশা আলোকবর্তিকা, বাহারচরা; বরুমছড়া জাগরণী, পুকুরিয়া; ১নং পাড়া সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, ছনুয়া ও দীপশিখা পাঠাগার।
বিতরণকৃত চারাগুলোর মধ্যে বকাইন নীম, অর্জুন, হিজল, জলপাই, পেয়ারা, কাঠবাদাম, বেল, তেতুল, জারুল, জাম্বুরা, লেবু, সফেদা সহ ১২ প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রয়েছে।
উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেন আবহাওয়াবিদ আবুল মনসুর, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবদুল্লাহ, ইউপি সদস্য এনামুল হক, বাঁশখালা একতা সংঘের সভাপতি রিয়াদ ও সেক্রেটারি রোকন সহ সংঘের সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ৩ বছরের ধারাবাহিকতায় এবার চতুর্থ বারের মতো এই কর্মসূচির মাধ্যমে বাঁশখালীতে প্রায় ৪০ হাজার চারা রোপণের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলো।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন পিপিএম বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সবুজায়নের বিকল্প নেই। উপকূলীয় এলাকা হিসেবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি। সেই তাগিদ থেকে সবুজায়নের উদ্যোগ। তাছাড়া বাঁশখালীতে তারুণ্যনির্ভর সামাজিক সংগঠনগুলো অত্যন্ত সক্রিয়৷ তাদেরকে সবুজায়নের মতো ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা গেলে দেশ উপকৃত হবে। বিদ্যাবাড়ির ব্যবস্থাপনায় এই কর্মসূচি ইনশাআল্লাহ আগামীতেও চলমান থাকবে।’