আবু ওবাইদা আরাফাত, বাঁশখালী টাইমস: কবিতায় ইদানীং সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাঁশখালী সাহিত্য পরিষদের আহবায়ক, বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কবি কমরুদ্দিন আহমদ। তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- শহর ছেড়েই যাবো, সবুজ সুখের পুলক, বিষাদের ভাসানে জলজ ঘাতক, হৃদয় শঙ্খ তীরে, গন্ধরাজের ঘ্রাণ, বিলবোর্ডে শব্দনুপুর ও কাব্যনিলয় (যৌথ- সহধর্মিণী কবি আরিফা সিদ্দিক)। কাব্যদ্যুতির পাশাপাশি সাহিত্য সমালোচনায়ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন ২০১১ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘আধুনিক কবিতা: প্রাসঙ্গিক বিবেচনা’ প্রবন্ধ গ্রন্থে। এতে স্থান পেয়েছে সমকালীন বাংলা সাহিত্যের সেরা দশজন কবির সাহিত্য কর্ম নিয়ে মূল্যায়ণধর্মী আলোচনা। আলোচনায় ছিলেন আবদুল মান্নান সৈয়দ, আল মাহমুদ, শামসুর রহমান, ফররুখ আহমদ, জসীম উদ্দীন, সূধীন্দ্রনাথ দত্ত, জীবনানন্দ দাশ, কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দনাথ ঠাকুর ও মাইকেল মধুসূধন দত্ত। ২০১৫ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদকে নিয়ে তাঁর লিখিত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘আল মাহমুদ: কবি ও কথাশিল্পী’ আল মাহমুদ গবেষণায় এক অনন্য সংযোজন বলে অভিহিত। ২০২০ সালে প্রকাশ পেয়েছে প্রবন্ধগ্রন্থ ‘চট্টগ্রামের কবি সাহিত্যিক’। ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর আলোচিত গবেষণাগ্রন্থ ‘নজরুল: অসাম্প্রদায়িকতার শ্রেষ্ঠ কবি ও অন্যান্য’। কবি কমরুদ্দিন আহমদ বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ইদানীং সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র চট্টগ্রামের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ‘ইদানীং- হাবিলদার রজব আলী খাঁ স্মৃতি পুরস্কার’ এ ৪ ক্যাটাগরিতে মনোনীত ব্যক্তির নাম ঘোষণা করা হয়। এতে কবিতায় কবি কমরুদ্দিন আহমদ, শিশুসাহিত্যে আলী আসকর, শিক্ষা ও গবেষণায় শামসুদ্দিন শিশির এবং সমাজসেবা ও মানবাধিকারে এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান উক্ত পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
আগামী ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ইং আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা সনদ, উত্তরীয়, নগদ সম্মানী ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হবে বলে জানান ইদানীং সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা কবি মিনহাজুল ইসলাম মাসুম।