মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রবারণা পূর্ণিমা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জমকালোভাবে উদযাপিত হয়েছে।
বৌদ্ধধর্মের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। বাঁশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে বুধবার (২০ অক্টোবর) ২১ ইং সন্ধ্যা থেকে ব্যাপক ঢোল বাজনা বাজিয়ে বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম এ উৎসব পালিত হয়। দুপুর থেকে শত শত নারী পুরুষ একত্রিত হয়ে সন্ধ্যায় হাজার হাজার ফানুস উত্তোলন করে তারা আনন্দ উপভোগ করে।
এই উপজেলার মধ্যে ৬ টি বৌদ্ধ মন্দিরে একই সাথে যথাক্রমে বাঁশখালীর পৌরসভা জলদী ধর্মরত্ন বিহার,দক্ষিণ জলদী বিবেকারাম বিহার, বাঁশখালী কেন্দ্রীয় শীলকূপ চৈত বিহার, কাহারঘোনা মিনজিরীতলা সংঘরাজ অভয়তিষ্য পারিজাত আরাম বিহার, বাঁশখালী পূর্ব পুঁইছড়ি চন্দ্রজ্যোতি বৌদ্ধ বিহার, বাঁশখালী শীলকূপ জ্ঞানোদয় বিহার,জলদী প্রজ্ঞাদর্শন মেডিটেশন বিহার, জলদী প্রগতি বিহার ও বোধিচৈত্য বিহার সহ সকল বৌদ্ধ মন্দিরে একযোগে আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে প্রবারণা পূর্নিমা পালন করে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে সীবলী পূজা, অষ্ট উপকরণ দান, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, আকাশ বাতি (ফানুস) উত্তোলন।
সন্ধ্যায় বাঁশখালী কেন্দ্রীয় শীলকূপ চৈত্য বিহার প্রাঙ্গনে শুভ প্রবারনা পূর্ণিমা উদযাপনসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালীব সাদলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জান চৌধুরী ও থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দীন ।
এরই ধারাবাহিকতায় বর্ণিল ফানুসে ঢেকে গেছে বাঁশখালীর আকাশ। সুন্দর মনোরম এই দৃশ্য দেখতে উপজেলার প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে জড়ো হতে থাকে হাজার হাজার বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ অক্টোবর জলদী প্রজ্ঞাদর্শন মেডিটেশন বিহার, ৫ নভেম্বর কাহারঘোনা মিনজীরিতলা সংঘরাজ অভয়তিষ্য পারিজাতআরাম বিহার, ৬ নভেম্বর শীলকূপ জ্ঞানোদয় বিহার, ৭ নভেম্বর পুঁইছড়ি চন্দ্রজ্যোতি বিহার, ৮ নভেম্বর বাঁশখালী কেন্দ্রীয় শীলকূপ চৈত্য বিহার, ৯ নভেম্বর দক্ষিণ জলদী বিবেকারাম বিহার, ১০ নভেম্বর বাঁশখালী পৌরসদরস্থ জলদী ধর্মরত্ন বিহার, ১১ নভেম্বর উত্তর জলদী তুলারদাম পুকুরপাড় বৌধিচৈত্য বিহার, ১২ নভেম্বর বাঁশখালী কেন্দ্রীয় ধর্মচক্র প্রগতি বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত হবে।