
“ঝড় ঝঞ্চা জলোচ্ছ্বাস
গাছ লাগালে পাবে হ্রাস”
প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাঁশখালীর উপকূলবর্তী ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলোর মধ্যে ১০০০০ ফলজ ও বনজ চারা বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন পিপিএম’র উদ্যোগে, “বনায়ন” পৃষ্ঠপোষকতায় এই কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করে বাঁশখালীর কমিউনিটি পোর্টাল বাঁশখালী এক্সপ্রেস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগ্রহী সামাজিক সংগঠনগুলোকে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য আহবান করা হলে এতে অভূতপূর্ব সাড়া মেলে। প্রায় সত্তরের ও বেশি সংগঠন এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হয়। গত ৫ ও ৬ জুলাই তাদের মধ্যে ১০০০০ হাজার ফলজ, বনজ চারাগাছ বিতরণ সম্পন্ন হয়। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা উল্লেখযোগ্য সামাজিক সংগঠন গুলো হল যথাক্রমে আলোকিত রত্নপুর, বাহারচড়া, স্বপ্নতরী সংঘ, কাথরিয়া, বাঁশখালা একতা সংঘ, হাজিগাঁও অগ্রনী ক্লাব, পুকুরিয়া, উই ফর ইউ, বাগমারা আইডিয়াল ট্রাস্ট, সরল সামাজিক ঐক্য পরিষদ, নওজোয়ান একতা সংঘ, শীলকূপ, খানখানাবাদ যুব সমাজ উন্নয়ন পরিষদ, ছনুয়া উন্নয়ন পরিষদ,গুইল্যাখালী সূর্য্য তরুণ একতা সংঘ,শেখেরখীল, চাম্বল ইউনিয়ন সামাজিক একতা সংগঠন, হাজিগাঁও ফুটন্ত সংগঠন, পুকুরিয়া, গন্ডামারা ইউনিয়ন সামাজিক ভাই ভাই সংঘ, চাপাঁছড়ী জাগ্রত ছাত্র সংঘ, বাহারচড়া, শেখেরখীল একতা সংঘ, ডোংরা মিতালী সংঘ, খানখানাবাদ, কানুচেরাং বাড়ি একতা সংঘ, শীলকূপ, সমদ আলী সিকদার বাড়ী একতা সংঘ, গন্ডমারা, দীপ্ত তরুন ছাত্র সংসদ, গন্ডামারা, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, বাঁশখালী শাখা, একুশে ফাউন্ডেশন বাঁশখালী শাখা, বাঁশখালী নারী ফাউন্ডেশন, দক্ষিন বরুমছড়া জাগরণী, মাইদার পাড়া একতা সমাজ কল্যান সংঘ সহ আরো অনেক সামাজিক সংগঠন। চারাগাছ সংগ্রহে অক্লান্ত পরিশ্রম স্বীকার করেছেন বাঁশখালীর মেধাবী তরুন আবহাওয়াবিদ আবুল মনসুর, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, এই কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে বাস্তবায়নে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন বাঁশখালী এক্সপ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রহিম সৈকত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দক্ষিণ জেলার গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মাইনুল মান্নান, কাথরিয়া স্বপ্নতরী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও বাঁশখালী এক্সপ্রেসের এক্সিকিউটিভ সদস্য ইমরান খান রুবেল, বাঁশখালী এক্সপ্রেসের প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম তুহিন, ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ এনাম, মোহাম্মদ মিনহাজ প্রমুখ।
এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন পিপিএম এই কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত সবাইকে অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, অমিত সম্ভাবনা, স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণা আর দুর্বার পথচলার সঞ্জীবনী শক্তির নামই তারুণ্য। স্বপ্নিল শৈশব, সোঁদা মাটির গন্ধে মাতোয়ারা কৈশোর পেরিয়ে তিমির বিদারী তারুণ্যই সামাজিক শক্তির মূল উৎস। মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত তারুণ্যের শক্তিকে স্পন্দিত করার উদ্দেশ্যে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস “বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২১” আমাদের সম্মিলিত ভালোবাসার স্লোগানে গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। একদিন গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে এই সবুজ মায়ার কোরাস।
(প্রেসবিজ্ঞপ্তি)