বাঁশখালী টাইমস: আজ বুধবার (২৬ মে) শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় বা প্রধান ধর্মীয় উৎসব এটি। গৌতম বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণের এই তিন ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের সব স্থানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছেই বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে দিনটি সরকারি ছুটির দিন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, মহামতি বুদ্ধ একটি সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। অহিংসা পরম ধর্ম— বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমাজে শান্তির জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। আজকের এই অশান্ত ও অসহিষ্ণু বিশ্বে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ, ধর্ম-বর্ণ-জাতিতে হানাহানি রোধসহ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহামতি বুদ্ধের দর্শন ও জীবনাদর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল থেকে এ দেশে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে আসছেন। এই সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধ ধর্মের নেতাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বুদ্ধ পূর্ণিমা। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন নেপালের লুম্বিনী কাননে। এ রাতেই তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়ায়। এছাড়া গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুও হয়েছিল এ রাতেই। আর এ কারণেই এ তিথিকে বলা হয় ত্রিস্মৃতি বিজড়িত বুদ্ধ পূর্ণিমা। এছাড়া গৌতম বুদ্ধের জন্ম, মহাপ্রয়াণ ও বোধিলাভ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর অপর নাম বৈশাখী পূর্ণিমা।
সব বিহার ও প্যাগোডায় বুদ্ধপূর্ণিমার কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি থাকছে না। কেবল বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুরা বিহারের ভেতরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা, বন্দনাসহ ধর্মীয় কার্য সমাধা করবেন। এছাড়া, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বাড়িতে বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হবে।