বাঁশখালী টাইমস প্রতিবেদন: বছর খানেক আগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মানবকল্যাণমূলক সংগঠন ‘অন্তহীন ফাউন্ডেশন’। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে তাদের ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টা সমাজে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
বিভিন্ন মানবিক বিপর্যয় ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে তারা কাজ করা যাচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় ‘প্রজেক্ট মুঠোভাত’ রমজানের তৃতীয় প্রজেক্ট ও অন্তহীনের প্রতিষ্ঠার ১ম বছরের ১৩তম প্রজেক্ট সম্পন্ন হয়েছে। কক্সবাজারের পেকুয়া ও বাঁশখালীর অতি দরিদ্র ৫১ টি পরিবারের কাছে ইফতারী, সাহরী ও ঈদ গিফট পৌঁছে দেয় টীম অন্তহীন।
মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাঁশখালীতে ভুমিকা রাখে অন্তহীনের প্রাইম মেম্বার নেভী এংকরেজ স্কুল এন্ড কলেজ চট্টগ্রামের রসায়ন প্রভাষক মোঃ শহীদুল ইসলাম এবং পেকুয়াতে ট্রাস্টি ও প্রজেক্ট লিডার ইমতিয়াজ আইমান, প্রাইম মেম্বার নিলয় চৌধুরী ও আসিফুর।
রমজানে আরো প্রজেক্ট হাতে নিয়ে আসছে টীম অন্তহীন।গত এক সপ্তাহে ২ টি এতিমখানায় কয়েক দিনের খাবারের পাশাপাশি ৯৯টি পরিবারকে ১০ দিনের ইফতার ও সাহরী এবং ৫০০ টাকা করে ঈদ উপহার পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য অন্তহীনের প্রতিষ্ঠার এই প্রথম বছরে তাদের ১৩ টি প্রজেক্ট এই পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
১. বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে ভ্রাম্যমান করোনা সেম্পল কালেকশন।
২. মাদারিপুর জেলার শিবচর ইউনয়নে বন্যা দুর্গত ২০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ বিতরণ করে যেখানে প্রতি পরিবারের ১০ দিনের খাবার যোগান দেওয়া হয়।
৩. দেশব্যাপী ২৫ টি পরিবারকে এক কালীন অর্থ সহায়তা প্রদান।
৪. চট্টগ্রাম মেট্রো এরিয়াতে মাস্ক বিতরণ
৫. ১০০০ রিকশাচালককে সুর্যের তাপদাহ থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে ক্যাপ বিতরণ
৬. সাতক্ষীরা জেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন।
৭. সিভি লেখায় তরুণদের সহযোগিতা
৮. চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সর্বস্বহারা বিধবার ঘর তৈরী
৯. চন্দনাইশে এতিমখানায় ২০ জন এতিমের ২ মাসের খাবার ও কম্বল বিতরণ
১০. ৬০ জন হতদরিদ্রের বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন, যেখানে বাঁশখালীর অনেক রোগী বিনামূল্যে ছানি অপারেশনর সুযোগ পায়।
১১. প্রজেক্ট শিশুঃ মাদ্রাসায়ে রহমানিয়া লোকমানিয়া হাফিজিয়া ও খাজা কালু শাহ এতিমখানার ১৮ ছাত্রের ১৫ দিনের জন্য রমযানের ইফতার এবং সাহরি বিতরণ এবং আল হেরা এতিমখানা ও হেফজখানার ৬৫ জন ছাত্রের এক দিনের খাবারের ব্যাবস্থা।
১২. প্রজেক্ট রোজাদার
১৩. প্রজেক্ট মুঠোভাত
এভাবেই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অন্তহীন ফাউন্ডেশন।