বাঁশখালী টাইমস: বোট ডাকাতি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে গন্ডামারার চার জলদস্যুর বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন খানখানাবাদের প্রেমাশিয়া এলাকার মুহাম্মদ ফরহাদ নামের এক ব্যক্তি। অভিযুক্তরা হলেন মুহাম্মদ ফরিদ পীং নাছির, কামাল উদ্দিন পীং মুহাম্মদ জাফর, হারুণ পীং বেইগ্যা, আজগর পীং নওশা মিয়া। তারা গন্ডামারা ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রেমাশিয়া ও সাধনপুর এলাকার জেলেরা গন্ডামারা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গেলে ওখানকার এই জেলেরা তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বোট আটকিয়ে অবৈধভাবে টাকা পয়সা লুটপাট করে। জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে। এ অভিযোগে প্রেমাশিয়া রোসাঙ্গী পাড়া মৎস্য সমবায় সমিতির সহ সভাপতি মুহাম্মদ ফরহাদ বাদী হয়ে গতকাল বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপকূলীয় প্রেমাশিয়া মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ, সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খোকা, খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফেজ মোহাম্মদ ছৈয়দ নুর।
পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় প্রেমাশিয়া মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, আমাদের লোকজন গন্ডামারায় মাছ ধরতে গেলে তারা নানাভাবে হয়রানি করে। বোট আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে, মারধর করে। এমনকি তারা আমাদের বোটও ছিনতাই করেছে। এই জলদস্যুদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে আমরা গতকাল বাঁশখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’ বাঁশখালীর থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির বলেন, ‘এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছে। উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইতোপূর্বেও বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা সামুদ্রিক তীরবর্তী এলাকায় মাছ ধরতে বাধার সম্মুখীন হওয়ার প্রতিবাদে স্মারকলিপি দিয়েছে পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় প্রেমাশিয়া মৎস্য সমবায় সমিতি। গত ৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহ বাঁশখালী থানা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ বরাবর তারা এই স্মারকলিপি দেয়। স্মারকলিপিতে সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, ৩ নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের প্রেমাশিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীরা বিগত ৪০ বছর ধরে গন্ডামারা সামুদ্রিক তীরবর্তী এলাকায় মাছ ধরে ব্যবসা করে আসছে। কিন্ত বিগত কয়েক মাস ধরে মাছ ধরতে সাগরে জাল নিয়ে গেলে কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি জাল ফেলা, মাছ ধরা ও মাছ সরবরাহ করতে বাধা দিচ্ছে। এমনকি বিগত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সমিতির কয়েকজন সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হয়। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে মৎস্যজীবীদের জীবনের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে সাগরে মাছ ধরতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।