দৈনিক পূর্বদেশ সম্পাদক সিআইপি মুজিব বলেন, বাঁশখালীতে যাতে ভিক্ষুক না থাকে সেজন্য কাজ করছি। আগে দেড়শ জনকে পুনর্বাসন করেছি। আবারো ৫০জনকে ভ্যানগাড়ি ও সেলাই মেশিন প্রদান করেছি। আগামীতে যাতে আরো দিতে পারি সেজন্য দোয়া করবেন। বাবার আদেশে সামাজিক কর্মকান্ড চালাচ্ছি। আমাদের উচিত প্রত্যেকে প্রত্যেক মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাহলেই এলাকা স্বাবলম্বি হবে। আগামীতেও গরীব মানুষের পাশে আমি ও আমার পরিবার থাকবো। ইনশাআল্লাহ।
পুকুরিয়ার বাসিন্দা ছেনুয়ারা বেগম। বয়স ৬০। তিন মেয়ের সংসার। দুই মেয়ে বিয়ে দিলেও এখনো অবিবাহিত এক মেয়ে। মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান তিনি। ভ্যানগাড়ি পেয়ে চোখেমুখে হাসি। বললেন, গাড়িটি ভাড়া দিয়ে উপার্জিত অর্থে সংসার চালাবেন।
ছেনুয়ারা বেগমদের মতো বাঁশখালীর ৫০জন ভিক্ষুকের মুখে হাসি ফুটেছে। আজ বাঁশখালীর সাত ইউনিয়নের ৫০ জন ভিক্ষুককে ভ্যান গাড়ি প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বিকাল ৫টায় মাস্টার নজির আহমদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে নজির আহমদ ট্রাস্টের উদ্যোগে ভিক্ষুক পুনর্বাসন অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। ট্রাস্টের সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান সিআইপি ভিক্ষুকদের মধ্যে এসব গাড়ি প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবু সৈয়দ, বাঁশখালী উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী নূর হোসেন, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম, আওয়ামী লীগ নেতা ভিপি ইলিয়াস, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহদাত ফারুক, কাথরিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, শেখেরখীল আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু কুমার দেব, জেলা কৃষক লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা জসিম উদ্দিন খোকন, রাজীব গুহ, বিশ্বজিৎ দেব প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি