ডেস্ক নিউজ: বাঁশখালীর প্রাচীন ছনুয়া মনুমিয়াজী জেটিঘাটে অবশেষে যাত্রী ছাউনি স্থাপন হচ্ছে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর পর যাত্রী ছাউনি নির্মাণ হচ্ছে জেনে বেজায় খুশি ছনুয়া ও দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বাসিন্দারা।
জানা যায়, কুতুবদিয়া চ্যানেলের ছনুয়া জেটিঘাট থেকে কুতুবদিয়া ধূরুং ঘাট পর্যন্ত যাত্রী সেবা প্রদান করে মাত্র দুটি ডেনিস বোট। আর দুটি ডেনিস বোট ওপার থেকে ছেড়ে আসা পর্যন্ত ছনুয়া জেটিতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। যার কারণে রোদে শুকাতে হয়, আর বৃষ্টিতে ভিজতে হয় অপেক্ষমাণ যাত্রীদের। তাদের বসার কোন জায়গা নেই। বিষয়টি স্থানীয়রা বাঁশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি লায়ন আমিরুল হক এমরুল কায়েসকে অবহিত করেন। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ জানুয়ারি লায়ন আমিরুল হক এমরুল কায়েস ছনুয়া জেটিঘাট পরিদর্শনে যান এবং যাত্রী ছাউনি স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচন করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন মনুমিয়াজী বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামসুল আলম, ডা. নোমান চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আহমদ কবির সওদাগর, আ.লীগ নেতা মো. জাহেদ, ইউপি সদস্য আবদুল কাদের বুলু সহ অনেকে।
ছনুয়া ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন, ‘শুনেছি এমরুল কায়েস ভাইয়ের প্রচেষ্টায় জেলা পরিষদের অর্থায়নে ছনুয়া মনুমিয়াজী জেটিঘাট সংলগ্ন একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ হচ্ছে। আমরা এমরুল ভাইয়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। জনপ্রতিনিধি না হয়েও যে এলাকার উন্নয়ন করা যায়। এমরুল ভাই সেটার অন্যতম উদাহরণ।’
এ বিষয়ে বাঁশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. আমিরুল হক এমরুল কায়েস বলেন, ‘আমার আস্থাভাজন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাম সাহেবের আন্তরিকতায় ছনুয়া মনুমিয়াজী জেটিঘাটে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণের জন্য ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ।’
উল্লেখ্য, বাঁশখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. আমিরুল হক এমরুল কায়েস জেলা পরিষদের অর্থায়নে ছনুয়া ইউনিয়নে নানা উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন। তৎমধ্যে ছেলবন খেয়াঘাট যাত্রী ছাউনি, ডিসি রোড, আলহাজ্ব মৌলভী নজরুল ইসলাম সড়ক, অলিমিয়া সিকদার সড়ক, ছনুয়া ওয়াপদা সড়ক, আশরাফ আলী সড়ক সহ আরো অসংখ্য সড়ক।