বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে ৩৫টি নবজাতকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নগরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা থেকে লাশগুলো বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পানির ট্যাঙ্ক সংলগ্ন ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জানিয়েছেন, মরদেহগুলো কোথা থেকে এসেছে সে বিষয়ে জানেন না তারা।
এদিকে এতগুলো নবজাতকের মরদেহ কিভাবে ডাস্টবিনে এলো তা নিয়ে নগরজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটছে মানুষ। লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে হাসপাতাল চত্বর। নানান গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন ভিন্ন কথা। ঘটনাস্থল পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় আজও সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্নতাকারী আসেন শেবাচিম হাসপাতালের ডাস্টবিনের ময়লা পরিস্কার করতে। পরিস্কার করার সময় তারা একাধিক বাচ্চা দেখতে পেয়ে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদকে জানান।
নবজাতকগুলো একই দিনের ছিল না। কিছু সংখ্যক পচে গেছে। কিছু সংখ্যক পচে গলে গেছে। কিছু ভালো আছে। এ বাচ্চাগুলো কোথা থেকে এসেছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ওয়ার্ড মাস্টার জানান, এই মুহূর্তে আমি স্পষ্ট কিছু বলতে পারছি না। তবে ধারণা করা যেতে পারে গাইনী ওয়ার্ডের ইর্ন্টানী ডাক্তাররা তাদের প্রাকটিস করার জন্য বাচ্চা সংগ্রহ করে থাকে।
সেগুলো হয়তো বা এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকলে কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো মেডিকলে কলেজের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রিজার্ভ (ফরমালিন দেয়া) করা বহু পুরানো নবজাতক হতে পারে। যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষা দেয়া হয়। যেগুলো এখন ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় ফেলে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে বিষয়টি জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তদন্তের পর সব কিছু পরিস্কার হবে বলে তিনি জানান। এদিকে গাইনী বিভাগের প্রধান ডাক্তার খুরশিদ জাহানসহ সংশ্লিষ্ট নার্সদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: নিউজ বরিশাল
