
বাঁশখালী টাইমস: ছাত্ররাজনীতির মূলধর্ম আদর্শ ও দেশপ্রেম হলেও অনাকাঙ্ক্ষিত বেশুমার নেতিবাচক খবরে মানুষ যখন আশাহত ঠিক এর বিপরীতে কিছু কিছু নেতাকর্মী নিজের মেধা-যোগ্যতা ও ব্যক্তিত্বে পৌঁছে গেছেন অনুকরণীয় পর্যায়ে।
চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি, কলহ-কোন্দল, খুনাখুনি শব্দগুলো যেখানে ছাত্ররাজনীতির সমার্থক হতে চলেছে সেখানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের খবরটি হৃদয়শীতলকারী বটে।
১৯৯৮ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত টানা ২২ বছর খতমে তারাবিতে ইমামতি করে আসছেন কোরআনে হাফেজ এই ছাত্রলীগ নেতা।
কর্মীবান্ধব নেতা শেখ মহিউদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন- ‘রাজনীতির পাশাপাশি আমি রমজানে খতমে তারাবিহতে ইমামতি করার কারণে বিভিন্ন জায়গায় সম্মানিত হয়েছি। এটা আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ভাই আমি হাফেজ জানার পর অনেক খুশি হয়েছিলেন, আমাকে সবাই অনেক ভালোবাসেন। এ সুবাদে আমি বড় বড় অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াতের দায়িত্ব পেতাম।’
তিনি আরও বলেন- ‘ছাত্র সমাজের কাছে রাজনীতির আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার আগে সবার আগে নিজেকে পরিশুদ্ধ হতে হবে। সৎচরিত্র দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে।’
শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন একাধারে হাফেজ শিক্ষা, ক্বওমী শিক্ষা ও আলিয়া শিক্ষা ক্ষেত্রে কামিল সমাপ্ত করেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবী সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এই মেধাবী ছাত্রনেতা।
শেখ মহিউদ্দিনের গ্রামের বাড়ি বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নে।
২০০৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় এই নেতা ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন বলে জানান তিনি।
এরপর দীর্ঘদিন ধরে কমিটি স্থগিত থাকার পরে কয়েক বছর আগে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তার নাম না আসলে তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়।