মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমস: চট্টগ্রাম দক্ষিনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দীন আহমদ বলেছেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ এর ২১ আগস্ট এর ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। তিনি বলেন, পাকিস্তানের দোসরদের মদদে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদেরকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, একই খুনি ও তাদের দোসররা ২০০৪ এর ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শেষ অস্তিত্বকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে তারা সফল হতে পারেনি। তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলা ছিল পরিকল্পিত। খালেদা-নিজামির নেতৃত্বে তারেক জিয়া ও বাবর গং ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যেই ঐ গ্রেনেড হামলা পরিচালিত হয়েছিল। তিনি বাঁশখালীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিক উপলক্ষে বাঁশখালী থানা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামীলীগের যৌথ উদ্দ্যেগে
১৫ ই আগষ্ট( বৃহস্পতিবার ) বিকালে জাতীয় শোক দিবস উপজেলা অাওয়ামীলীগের নিজস্ব মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত শোক দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকার ও পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক নীল কন্ঠ দাশের সঞ্চালনায় ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য (চট্টগ্রাম -১৬) বাঁশখালীর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দীন আহমদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম চেয়ারম্যান, দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বোরহান উদ্দীন এমরান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, জেলা পরিষদের সদস্য শাহিদা আক্তার, এড. জোবাইদা, উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেহেনা আক্তার কাজেমী, সরল ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, বাঁশখালী থানা যুবলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আ ন ম শাহাদত আলম, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন, চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীন চৌধুরী,চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন উদ্দীন চৌধুরী,চেয়ারম্যান হারুন,সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার,পুইছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান,পৌর আওয়ামীলীগ নেতা আক্তার হোসেন, বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাক আলী চৌধুরী টিপু, দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দীন সাকিব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনছুর আলী, এড.তোফাইল বিন হোসাইন, আকতার হোসেন,মাহাফুজুর রহমান চৌধুরী,হামিউল্লাহ,আব্দুল ওয়াদুদ লেদু,শিহাবুল হক সিকদার,ছাত্রনেতা ইফতেখার তালুকদার বাবু,ইমরুল হক চৌধুরী ফাহিম প্রমূখ। এছাড়াও বাঁশখালী আওয়ামীলীগ ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, আজ রক্তের অক্ষরে লেখা ১৫ আগস্ট। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার কলঙ্কিত দিন। আজ কান্নার দিন, জাতীয় শোক দিবস। আজ বাংলার নিসর্গ-প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের এই দিনে পরিবার-পরিজনসহ একদল ঘৃণ্য ঘাতকের গুলিতে ৩২ নম্বর ধানমণ্ডির বাসভবনে শাহাদাতবরণ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাঁশখালী সংসদ আলহজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৭৫ এর আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার যে অপচেষ্টা চালিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৮ হাজার নেতাকর্মীকে নির্মম নির্যাতন করে কারাগারে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের উপর তখন অমানবিক পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সবচেয়ে নিরাপদ স্থান জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, আজ আমরা আশ্বস্ত ও বিশ্বস্থতার সাথে বলতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আজ প্রগতিশীল আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের সমমর্যাদায় উন্নীত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। শোকের মাসে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে চলার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের দেশ আজ শান্তি ও সুশৃঙ্খল এবং নিরাপত্তার বাংলাদেশ।’