আবু ওবাইদা আরাফাত, বাঁশখালী টাইমস: সিএনজিতে হারিয়ে ফেলা স্মার্ট ফোন পুলিশের সহায়তায় মাত্র ৮ ঘন্টায় ফিরে পেল বাঁশখালী জলদীর সন্তান আরফাত উদ্দিন আস্করি। বিদেশ থেকে সদ্য পাঠানো হাই কনফিগারেশনের এই মোবাইলে অত্যন্ত জরুরি অনেক ডকুমেন্টস ছিল। সিএনজিতে ফেলে আসা মোবাইলটি ফিরে পেতে কোন উপায় না দেখে প্রশাসনের দ্ব্বারস্থ হন তিনি। নগরীর বায়েজিদ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাফীর একাডমির সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও মোবাইলের আইএমইআই নাম্বার দিয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশকে অবহিত করেন মোহাম্মদ আরাফাত উদ্দিন।
পুলিশ সূত্র জানায়- ‘সিএমপি, চট্টগ্রামের ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ অ্যাপস এর সহায়তায় বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় এএসআই নকুল চন্দ্র মোহাম্মদ আরাফাত উদ্দিনের (৩৮) (পিতা-মৃত নুরুল আলম গ্রাম- দক্ষিণ জলদি, আসকর মৌলভী বাড়ি, পোস্ট – জলদি। ০৭ নং ওয়ার্ড পৌরসভা বাঁশখালী) গত ২০/০৯/২২ ইং হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি ০৮ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। গতকাল ২১/০৯/২২ ইং আরাফাত ইসলাম অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর), বেলায়েত হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বায়েজিদ বোস্তামী জোন) ও ফেরদৌস জাহান, অফিসার ইনচার্জ বায়েজিদ বোস্তামী থানা প্রকৃত মালিকের কাছে উদ্ধারকৃত মোবাইলটি হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, পুলিশের ট্র্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে জানা যায় এই অল্প সময়ের মধ্যে ৪ বার হাতবদল হয় মোবাইলটির। পুলিশের অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা ও পেশাদারিত্বে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার মাধ্যমে মোবাইলটি দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার হয়।
এ প্রসঙ্গে মোবাইল ফিরে পাওয়া বাঁশখালীর সন্তান, আস্থা ফিডের ডিলার আরাফাত উদ্দিন বলেন- ‘আমার কাছে এ বিষয়টি স্বপ্নের মতো লাগছে। পেশার প্রতি ও মানুষের প্রতি কতটুকু ডেডিকেশন থাকলে মাত্র ৮ ঘন্টার ব্যবধানে আমার মোবাইলটি উদ্ধার হলো! এই অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। যাদের অক্লান্ত শ্রমে মোবাইলটি ফিরে পেলাম তাঁদের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। সিএনজিতে ভুলে ফেলে আসা মোবাইলে কয়েকবার রিং হয়, এরপর বন্ধ পাই। কোন উপায় না পেয়ে থানা পুলিশের সহায়তা নিই; বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস জাহানের নির্দেশে সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আমার অভিযোগ আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। গতকাল রাতেই তিন থেকে চারজনের হাত বদল হওয়া মোবাইলটি আজকে সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক নকুল চন্দ্র দে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।’