BanshkhaliTimes

স্বতন্ত্রে নির্বাচন করার চূড়ান্ত ঘোষণা দিলেন অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম

বাঁশখালী টাইমস: দলের নিবন্ধন ও প্রতীক হারানো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর বাঁশখালী উপজেলার আমির, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বতন্ত্রভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন। এ লক্ষ্যে গত ১১ নভেম্বর তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম-১৬ (সংসদীয় অাসন-২৯৩) বাঁশখালী আসনের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।

বাঁশখালীতে এবারের নির্বাচনের হিসেব-নিকেষ একটু জটিলই বটে! আওয়ামী লীগ জোট তথা মহাজোটের প্রার্থী কে হবেন সেটা নিয়ে নানামুখী বিশ্লেষণ চলছে, এই আসনে তাদের প্রার্থী যিনি হবেন তাকে অনেক কিছুর হিসেব মিলিয়ে প্রার্থী করা হবে।

একইভাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর এ আসনে প্রার্থীতা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে! বিএনপি ছাড়াও অন্তত আরো দুটো দল বাঁশখালী আসনে তাদের প্রার্থী দিতে চায়। তাদের একটি এলডিপি, অপরটি অনিবন্ধিত জামায়াত।

কর্ণেল অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি তাদের প্রার্থী পিপি এডভোকেট কফিল উদ্দীনকে এই আসনে প্রার্থী করতে চায়, যেমনটা পত্রিকায় এসেছে।

একইভাবে বাঁশখালীতে জামায়াত উপজেলা পরিষদে তাদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে আসার সুবাধে তারা চায় এই আসনে তাদের প্রার্থী করতে। ২৩ দলীয় ঐক্যজোট থেকে তারা অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলামকে এই আসনে প্রার্থী করার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র কিনিয়েছে। যদি জোট থেকে প্রার্থী করা না-হয় তাহলে দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্র থেকে নির্বাচন করার অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বাঁশখালী জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম।

তিনি বাঁশখালী টাইমসকে জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঁশখালীর জনগণ পুরো প্যানেলে আমাদেরকে বাম্পার বিজয় দান করেছে। এটা সত্যি আমাদের উপর জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার নিদর্শন। জনগণের সেই আস্থার বাস্তব প্রতিফলন আমরা কাজের মাধ্যমে করে যাচ্ছি। প্রতিদিন বাঁশখালীর আনাচে-কানাচে গিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছি, জনগণের কথা শুনছি, তাদের দাবি মতো কাজ করে দিচ্ছি।

বাঁশখালীতে তো ঐক্যফ্রন্ট থেকে একজন প্রার্থী প্রায় নিশ্চিত, তারপরও আপনি কি বিজয়ী হতে পারবেন? ভোট ভাগ হয়ে যাবে না?- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে প্রার্থীর কথা আপনার বলছেন তিনি একসময় জনপ্রিয় ছিল কিন্তু গত ৫ বছরে এলাকার সাথে ওনার যোগাযোগ নেই বললেই চলে! তিনি এখন গণবিচ্ছিন্ন, জনবিচ্ছিন্ন একজন নেতা, খোদ ওনার দলের লোকেরাই তিন ভাগে ভাগ হয়ে আছে। আর আমাদের দলে তেমনটা কোনো সময় ছিল না, উল্টো আমাদের প্রতি সাধারণ জনগণের আলাদা একটা টান রয়েছে, কারণ আমাদের নেতারা গত ১০ বছর ধরে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা মামলার পর মামলায় দিশেহারা হয়েছে, ঘরে থাকতে পারেনি- এসবের কোনো কিছু সাধারণ জনগণের চোখে এড়িয়ে যায়নি। আর একটা বিষয় আপনারা দেখে থাকবেন যে, অনলাইনে করা প্রায় জরিপে আমরা শীর্ষে থাকি। ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না বলে তারা তাদের মনের কথা অনলাইনে নির্বিঘ্নে প্রকাশ করে। তেমনিভাবে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে ইনশাআল্লাহ আমরাই বাঁশখালীতে বিজয়ী হবো।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *