আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ এবং নির্বিঘ্ন করতে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৭০ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নেমেছে। সোমবার ২৪ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামতে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। অপরদিকে, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের প্রতিটি আসনে একটি করে ক্যাম্প স্থাপন করেছে বিজিবি। সেনাবাহিনীও তাদের ক্যাম্প স্থাপনে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করেছে।
বিজিবি দক্ষিণ পূর্ব জোনের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আদিল চৌধুরী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিজিবি সদস্যরা এখন মাঠে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের বিজিবি জোনাল হেড কোয়ার্টার থেকে নগরীর তিনটি আসনের কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে। এ ছাড়া, প্রতিটি আসনে একটি করে ক্যাম্পের পাশাপাশি উত্তরের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য মীরসরাইতে একটি এবং দক্ষিণের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য পটিয়াতে একটি আলাদা ক্যাম্প স্থাপন করেছে বিজিবি। জেলা ও মহানগরী মিলিয়ে ১৬টি সংসদীয় আসনে প্রায় ৭০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মাঠে নেমে কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিজিবি সদস্যরা এলাকায় টহল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র মনিটরিং করছেন।
বিজিবি অধিনায়ক জানান, বিজিবি সদস্যরা কোনো ভোটকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন না। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহলে থাকবেন। তবে কোনো প্রিসাইডিং অফিসার চাইলে বিজিবি সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, আগামীকাল সোমবার থেকে চট্টগ্রামে সংসদীয় আসনসমূহে সেনাবাহিনীও মাঠে নামতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বিভিন্ন সংসদীয় এলাকায় ক্যাম্প স্থাপনে সুবিধাজনক স্থান চিহ্নিত করে ক্যাম্প স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছেন।
অপরদিকে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলায় প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। ইতোমধ্যে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, কতজন পুলিশ সদস্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন, কতজন সদস্য টহলে থাকবেন, নির্বাচন কমিশনের অফিসে কতজন থাকবে, কতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে বা কতজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে থাকবেন তার সবই হিসাব-নিকেশ করে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রতিটি থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে সমবেত করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি কে কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই নেব। জেলা পুলিশের আওতাধীন ১৩টি সংসদীয় আসনের মোট ১ হাজার ৩০২টি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে পুলিশের ২০০টি মোবাইল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৬টি স্ট্রাইকিং টিম, নির্বাচন অফিসের জন্য ১৪টি টিম, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে ২৪টি টিম, অবজারভেশনের জন্য ১২টি টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া, আরো অন্যান্য দায়িত্ব পালনের জন্য অতিরিক্ত ২০টি টিম গঠন করা হয়েছে।’ রাইজিং বিডি
