বাঁশখালী টাইমস: সাহিত্যচর্চার এক উর্বর অঞ্চল আমাদের বাঁশখালী। একজন ব্যক্তি কবি হয়ে ওঠার জন্য যে প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রয়োজন তার সবটুকুই রয়েছে বাঁশখালীতে। যদিওবা কবিত্ব আল্লাহর একটি শ্রেষ্ঠ দান, কেউ চাইলেই কবি হয়ে উঠতে পারে না।
একদিকে বিশাল সাগর, তার বিপরীত সবুজে ঘেরা জঙ্গলবেষ্টিত পাহাড়, একদিকে স্বচ্ছ হ্রদ, আরেকদিকে লবণ মাঠ, চা-বাগানসহ প্রকৃতির নানা সব সৃষ্টি। সব মিলিয়ে সৌন্দর্যের এক অনুপম আধার বাঁশখালী। সেই সৌন্দর্যে জন্ম নিয়েছে একাধিক প্রতিভাবান লেখক, কবি, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক।
মুনসী মুহাম্মদ জীবন, কবি চুহর, অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র সিংহ, রামজীবন বিদ্যাভূষণ, অধ্যাপক আহসাব উদ্দিন আহমদ, ইতিহাসবিদ এমিরেটাস ড. আবদুল করিমের বাড়ি বাঁশখালী, তাঁরা সবাই বাঁশখালীর সন্তান। এদের ধারাবাহিকতা এখনও চলমান রয়েছে।
বর্তমানে বাঁশখালীতে একঝাঁক তরুণ সাহিত্যমোদী কাজ করছে। তাদের মধ্যে তাফহীমুল ইসলামও একজন। সে নিবিষ্টমনে লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছে। তার একটি ছড়ার বই রয়েছে, নাম- ‘ছড়া আমার চাঁদের কণা’। বইটি প্রকাশের পর তরুণ লিখিয়ে হিসেবে বাঁশখালীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে একপ্রকার সাড়া ফেলে দিয়েছিল। পরিচিত, অর্ধ-পরিচিত সবাই তার ছড়ার বইটি লুফে নিয়েছে।
এর বাইরেও সে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে কাজ করছে। কারো লেজুড়বৃত্তি না করে, পয়সার পেছনে না ছুটে নিজের মতো করে বাঁশখালীর সমস্যা-সম্ভাবনা, ঐতিহ্য, পুরনো স্থাপত্য সম্পর্কে তুলে ধরছে। মানুষকে সচেতন করছে, জাগিয়ে তুলছে। পাশাপাশি দেশের জাতীয় দৈনিক থেকে শুরু করে স্থানীয় দৈনিক, মাসিক পত্রিকা, ম্যাগাজিনে রয়েছে তার সরব পদচারণা।
ছড়ার বাইরে সে প্রবন্ধও লিখছে। প্রবন্ধ লিখে জাতীয়ভাবে বিভিন্ন ক্রেস্টসহ নানা পুরস্কার স্বীকৃতির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করছে। বাঁশখালীতে ছোট-বড় সবার কাছে এক পরিচিত নাম- তাফহীমুল ইসলাম।
তাফহীম ফেসবুকে ‘বাঁশখালী সাহিত্য পরিষদ’ ‘আমরা বৈলছড়িবাসী’ ও ‘বাঁশখালীবাসী’ গ্রুপের এডমিন হিসেবে আছে।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন। বাঁশখালী টাইমসের পক্ষ থেকে রইলো অবিরত শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।