বাঁশখালী টাইমস: সাধনপুর ইউনিয়নের বৈলগাঁও গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. হাশেমের দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগম (৭০) মুক্তিযোদ্ধা ভাতা না পেয়ে অসহায়ভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঘুরছেন গত ৪ বছর ধরে। এই ভাতা তুলে নিচ্ছেন প্রথম স্ত্রী জয়নাব বেগম (৭৫)। মুক্তিযোদ্ধা হাশেম মারা যান ২০১৪ সালের জুলাই মাসে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বণ্টনের নিয়ম অনুসারে দুই স্ত্রী সমান ভাগে ভাগ পাবেন। কিন’ রহস্যজনক কারণে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার নার্গিস বেগম।
নার্গিস বেগম বলেন, আমার কোলে মাথা রেখে মুক্তিযোদ্ধা মো. হাশেম ৪ বছর আগে মারা যান। আমার হাবিবুর রহমান নামের একটি ছেলে আছে। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি করছে। সামান্য বেতন পায়। এই টাকায় সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তাই আমি এ বাড়ি-ও বাড়ি গিয়ে শিশুদের কোরান শরীফ পড়িয়ে কিছু টাকা পাই। ওই টাকা দিয়ে বহু কষ্টে সংসার চালাই। মুক্তিযোদ্ধা ভাতার অর্ধেক টাকা আমি পেলে আমার ছেলেকে নিয়ে সুখে থাকব। আমি উপজেলা সমাজসেবা দপ্তরে আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়েছি। এসব কাগজপত্র দিলেও কর্মকর্তারা দেবে-দেবে বলে টাকা দিচ্ছে না।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। ওই মহিলার আবেদন শুনে তদন্ত করে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ সঠিক পেয়েছি। আসন্ন উপজেলা সমন্বয় সভায় তা উপস’াপন করে অবশ্যই নার্গিস বেগমের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাবার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার দেশের সম্পদ। তাঁদের পরিবারের সম্মানহানি ও অবহেলা করা মানে জাতিকে অবহেলা করা। বিষয়টি জেনে আমি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ জানিয়েছি। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন হবে।
সূত্র: suprobhat.com