বাঁশখালী টাইমস: সাধনপুরের সাহেবের হাটে পরিবহন নৈরাজ্য বিরোধী শত শত জনতার ফলপ্রসূ অবরোধ হয়েছে।
এতে অন্তত ২০ টি বাস বাড়তি ভাড়া ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে। যারা ফেরত দিতে গড়িমসি করেছে তাদেরকে উত্তম-মধ্যম দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
তাছাড়া চাঁদপুর-বাণীগ্রামে গাড়ি থেকে হেলপারকে নামিয়ে দেয়া ও ড্রাইভার থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে গাড়ি বন্ধ করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
আজ সকালে স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ার মারুফুর রশিদ নামের এক যুবকের ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাড়া দিয়ে শত শত যুবক সাহেবের হাট এলাকায় জড়ো হয়।
পর পর সকল বাসকে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করে বাড়তি ভাড়া ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়।
বাঁশখালী টাইমসকে মারুফুর রশিদ বলেন- ‘দীর্ঘদিন ধরে বাঁশখালীবাসী এই নৈরাজ্য সহ্য করে আসছে। এভাবে বাঁশখালীর প্রতিটি ইউনিয়নে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ করা গেলে বাঁশখালীবাসী এই নৈরাজ্য হতে মুক্তি পাবে’
সাধনপুরের স্থানীয় যুবকদের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ২০ টি বাসের প্রায় ১০০০ যাত্রী ন্যায্য ভাড়ায় বাঁশখালী আসতে পেরেছে। যাত্রী সাধারণরা এই উদ্যোগের সাধুবাদ ও এই প্রতিরোধ অভিযান চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। যাত্রীদের অনেকেই এই আন্দোলনের আপডেট, ছবি এমনকি ‘লাইভ’ নিজেদের ওয়াল ও বাঁশখালী টাইমস ফ্যান ক্লাব গ্রুপে শেয়ার করতে দেখা গেছে।
গুনাগরি ৮০ হাঁকডাকে গাড়িতে উঠেছিলেন- একেএম মঈনুদ্দিন নামের যাত্রী। তিনি বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- ‘আমি ও মামা দুজনে ১৫ টাকা করে ৩০ টাকা ফেরত পেলাম।’ যুবকদের এই প্রতিরোধে তিনি সাধুবাদ জানান।
মুঠোফোনে কয়েকজন যাত্রী পরিবহন নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকার জন্য বাঁশখালী টাইমসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।