
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঁশখালী টাইমস: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউপির চেয়ারম্যান এবং ট্যাগ আফিসারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে সরকারী ভাবে ৬ষ্ট পর্যায়ে বিতরণকৃত ত্রান আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া সাধারণ গরীব, অসহায়, দিনমজুর ও অস্বচ্ছ মানুষের জন্য বরাদ্ধকৃত সরকারী ত্রান ২ নং সাধনপুর ইউপির বিভিন্ন ওয়ার্ডের তালিকাভুক্ত ৩০ জনের নাম মাষ্টার রোলে থাকা সত্ত্বেও জাল টিপসহির মাধ্যমে আত্মসাৎ করায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়া শ্রমজীবি মানুষ।
ত্রাণবঞ্চিত অভিযোগকারী সাধনপুর ২ নং ওয়ার্ডের ফেরদৌস আহমদের পুত্র মনজুর আলম বলেন, সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ষ্ট পর্যায়ে সরকারীভাবে আসা ত্রাণের তালিকায় আমিসহ আমাদের ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৩১ জন শ্রমজীবির নাম রয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমরা ২৩ এপ্রিল পরিষদের কার্যালয়ে গেলে চেয়ারম্যান আমাদেরকে পরে যোগাযোগ করতে বলে, পরবর্তীতে রবিবার ২৬ এপ্রিল পুনরায় আমরা ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ত্রাণ বাড়িতে পৌঁছে দিবে বলে পরিষদে না আসতে বারণ করে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি মাষ্টার রোলে চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসারের যৌথ সাক্ষরে স্থানীয় চৌকিদারের মাধ্যমে আমাদের টিপসহি জাল করে আমাদের ৩১ জনের ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎ করে এবং মাষ্টার রোলে আমাদের স্থায়ী ওয়ার্ড পরির্বতন করে চেয়ারম্যানের বাড়ীর ওয়ার্ড দেখানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন চৌধুরী খোকা বলেন, ৩০ জনের ত্রাণ আত্মসাতের যে অভিযোগ তারা আমার বিরুদ্ধে দিয়েছেন এই অভিযোগটি সর্ম্পূণ ভূয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট।
বাঁশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী বলেন , অভিযোগটি আমাকে কেউ জানায়নি। অভিযোগকারীরা যদি ত্রাণ না পেয়ে থাকে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করত। কই কেউ তো আমাকে জানায় নি। তবে আমাকে এক সংবাদ কর্মী বিষয়টি জানিয়েছে। ত্রাণ বিতরণকালে একজন ট্যাগ অফিসার থাকে, আমি তার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি দেখব।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ৩০ জন ব্যক্তি ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।