বাঁশখালী টাইমস: মফস্বল সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। উচ্চশিক্ষিত বা ভাষাগত উচ্চজ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিদের এই পেশার প্রতি অনাগ্রহের কারণে মফস্বলে সাংবাদিকতার মহান পেশাটি কলঙ্কিত হচ্ছে। কিন্তু মেঘের আড়ালে সূর্য হাসে। মফস্বলে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিত্বকারীদের মধ্যে অনেক উচ্চশিক্ষিত ও ভাষাগত উচ্চ জ্ঞানসম্পন্ন নির্মোহ ব্যক্তিত্ব কাজ করে চলছেন।

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিবার (বাসাসপ) প্রতি বছর তাঁদের মধ্য হতে একজনকে বাছাইপূর্বক সম্মানিত করে আসছে। প্রতি বছরের ধারাবাহিতায় ২০১৮ সালে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পেশাগত দায়িত্ব সম্পাদনের স্বীকৃতি স্বরূপ মফস্বল সাংবাদিকতায় “বাসাসপ সম্মাননা-২০১৮” পাচ্ছেন সাংবাদিক আরফাত হোসেন বিপ্লব।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিতব্য “বাসাসপ” এর তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলনে সাংবাদিক আরফাত হোসেন বিপ্লবের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত বছর এই ক্যাটাগরিতে “বাসাসপ সম্মাননা-২০১৭” প্রাপ্ত হয়েছিলেন “দৈনিক মানবজমিন”র চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
সাংবাদিক আরফাত বিপ্লবের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
সাংবাদিক আরফাত হোসেন বিপ্লব ০১ ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া সদরের উকিলের পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বন্দর নগরীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষালয় চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ হতে অনার্স ও ঢাকা কলেজ হতে মাস্টার্স সম্পন্ন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল গবেষণারত এই অদম্য কলমসেনা সাহসিকতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাংবাদিকতার দায়বদ্ধতায় নিজের পেশাগত দায়িত্ব সম্পাদন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় প্রভাবশালী মহলের হুমকি ধামকি ও মামলার শিকার হন তিনি।
ছোটবেলা হতে তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়ে পড়েন। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে লেখালেখি হতেই সাংবাদিতার প্রতি ঝুঁকে পড়েন তিনি। “দৈনিক ভোরের কাগজ”র মাধ্যমে ছাত্রজীবনের মাঝামাঝি সময়ে সাংবাদিকতায় জড়িয়ে পড়েন আরফাত হোসেন বিপ্লব। এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সর্বজন গ্রহণযোগ্য গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পরিচিত এই সংবাদকর্মী বিগত এক যুগ ধরে “দৈনিক নয়া দিগন্ত”র লোহাগাড়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি সমসাময়িক বিষয়ে জাতীয় দৈনিকসমূহে কলাম লেখেন।
তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও পরিচালনায় লোহাগাড়া হতে নিয়মিত প্রকাশিত পাঁচমিশালী সাময়িকী “প্রিয় লোহাগাড়া” স্থানীয় সর্বস্তরের পড়ুয়া মানুষের প্রিয় ম্যাগাজিন হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি উই দ্যা ড্রিমার্স, লোহাগাড়া সমিতি চট্টগ্রামসহ কয়েকটি সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠনের সাথে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন।