সহিংসতা নয়, হুড়োহুড়িতেই এই মৃত্যু: সিএমপি কমিশনার
দুপুরে নগরীর জামালখান আসকার দীঘির পাড়ে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিএমপি কমিশনার বলেছেন – সহিংসতা নয়, হুড়োহুড়িতেই এই মৃত্যু।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জানান, ওই কমিউনিটি সেন্টার থেকে অন্তত ৩০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গেছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেল। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রায় ১৬ বছর চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্ব পালন করা এই রাজনীতিবিদ স্থানীয়ভাবে ছিলেন দারুণ জনপ্রিয়।
তার কুলখানির জন্য সোমবার পরিবারের পক্ষ থেকে নগরীর ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অমুসলিম এবং যারা গোমাংস খান না, তাদের জন্য মেজবানের ব্যবস্থা হয়েছিল ওই রীমা কমিউনিটি সেন্টারে।
ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা গেছে, দুই তলা ওই কমিউনিটি সেন্টার ভবনের নিচতলায় মূলত গাড়ি রাখা হয়। বসা ও খাওয়ার ব্যবস্থা দোতলায়।
আসকার দীঘির পাড় কিছুটা নিচু এলাকা হওয়ায় ওই এলাকার অধিকাংশ ভবনের মত রীমা কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথও বেশ খানিকটা ঢালু। সেখানেই ভিড়ের মধ্যে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
সেখানে দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবক অনুপ দাস জানান, হুড়োহুড়ির ঘটনায় তিনি নিজেও পায়ে ব্যথা পেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, “ফটকের বাইরে ছিল অনেক মানুষের ভিড়। ঢোকার সময় পেছনের চাপে সামনে ওই ঢালু জায়গায় থাকা বেশ কয়েকজন পড়ে যান। তখন তাদের ওপর দিয়েই পেছনের লোকজন হুড়মুড় করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ফলে অনেক মানুষ হতাহত হয়।”
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “অনেকে পড়ে গেছেন, মানুষের ভিড়ের কারণে অনেকে পদদলিত হয়েছেন।”
কমিউনিটি সেন্টারের ফটকে পুলিশের তৎপরতার অভাব ছিল কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত নয়।
“এটা মারামারি বা গ্রুপিং বা অন্য কোনো বিষয় না। নিরাপত্তার অভাব হয়নি, অতিরিক্ত মানুষের কারণে এবং ঢোকার সময় হুড়োহুড়ির কারণে অনেকে পড়ে গিয়ে পদদলিত হয়েছেন।”
অন্য যেসব কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের ব্যবস্থা হয়েছে, সেসব জায়গায় দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান সি এম পি পুলিশ কমিশনার।
আরও পড়ুন :