BanshkhaliTimes

সমৃদ্ধির পথে নিরন্তর ছুটে চলার ২৪ বছরে ‘প্রিমিয়ার ব্যাংক’

BanshkhaliTimes

তৃতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হয়েও যে ব্যাংকটি একুশ শতকের সেরা ব্যাংকের একটি হিসেবে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছে তা প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড। ২৬ অক্টোবর প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর অতিক্রম করতে যাচ্ছে। এই ব্যাংকটির সাফল্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সহজ ব্যাংকিং এবং গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে ভালো গভর্নেন্স এবং কাজের জবাবদিহিতার পাশাপাশি কর্পোরেট সিটিজেনশীপ এই ব্যাংককে এনে দিয়েছে আলাদা ভাবমূর্তি। দেহের সুস্থতা যেমন মনকে সচেতন রাখে এ ব্যাংকটির মানসম্পন্ন ব্যাংকিং গ্রাহকদের সেভাবেই সতেজ রাখে। ব্যাংকিং সেবা খাতের অনন্য এই ব্যাংকটি তাদের কার্যক্রম দ্বারা একদিকে যেমন দেশের অর্থ-বাণিজ্য শিল্পায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে, তেমনি দারিদ্র্য নিরসনেও রেখে যাচ্ছে যুগান্তকারী ভূমিকা। এ ব্যাংকটি স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ ও দরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ ঋণ চালু করেছে। এ ছাড়া এসএমই ঋণের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সৃষ্টিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

BanshkhaliTimes

⚫ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যাংক

প্রিমিয়ার ব্যাংক মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বাস্তবায়নের একটি আধুনিক ব্যাংক। এ ব্যাংকটির কার্যক্রম জুড়ে দেশের সম্পদ ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক স্বছলতা আনয়ন, শিল্পোদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি উপহার দেয়ার গুরুত্ব অবদান স্বীকৃত হচ্ছে। ১৯৭১ সালে যে চেতনার আলোকে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরবর্তী সময়ে দেশকে স্বনির্ভর ও শোষণমুক্ত করায় যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিক, ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ. বি.এম. ইকবাল। তিনি মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি আকাংখা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই তার সমাপ্তি হতে পারে। এ জন্যেই তিনি শুধু এই ব্যাংকটিকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাজাননি, সাজিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে। এ ব্যাংকটির প্রধান মিশন হচ্ছে আর্থিক পরিষেবাগুলোর সবচেয়ে যত্নশীল এবং গ্রাহকবান্ধব প্রদানকারীর হতে আরো বেশি লোকদের জন্য সুযোগ তৈরি করা। দ্বিতীয়ত: শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে স্থিতিশীলতা এবং সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা। তৃতীয়ত: পর্যায়ক্রমে সমস্ত স্তরে দ্রুততর প্রযুক্তি গ্রহণ করা এবং দক্ষতা উন্নত করা এবং প্রতি লেনদেনের ব্যয় হ্রাস করা। চতুর্থত: ব্যাংক দ্বারা লেনদেন করা সমস্ত ব্যবসায় উচ্চ স্তরের স্বচ্ছতা এবং নৈতিক মান নিশ্চিত করা। পঞ্চমত: সুবিধাজনক পরিবেশ প্রদান করা যা যোগ্য কর্মশক্তিকে আকৃষ্ট করবে যারা গর্বিত এবং ব্যাংকের জন্য কাজ করতে আগ্রহী হবে। ষষ্ঠত: সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ হওয়া এবং সামাজিক খাতের জন্য কার্যকর অবদান রেখে জীবনের সমতা উন্নীত করার জন্য সচেষ্ট হওয়া। মূলত: এ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ হিসেবে যেমন সফল মানুষ তেমনই ব্যাংক উদ্যোক্তা হিসেবেও অনন্য। ‘সেবাই প্রথম’ এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ১৯৯৯ সালের ২৬ অক্টোবর প্রিমিয়ার ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং জগতে যে ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখন বিকশিত হয়ে মহীরুহে পরিণত হয়েছে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল এই ব্যাংকটিকে সময়ের সেরা ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনেক ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন।

⚫ অবিরাম সাফল্য

এই ব্যাংকটি ব্যাংকিং সেক্টরে বহুমুখীকরণ করেছে। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের সকল সুবিধাসহ ১২৮টি শাখার মাধ্যমে ১২টি এসএমই ও ১৮টি এডি (অথরাইজড ডিলার) শাখাসহ সারাদেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ১২০ এটিএম বুথ ও ৬২টি উপশাখা আছে। ২০২২ সালে প্রিমিয়ার ব্যাংক সম্পদ, আমানত, ঋণ, রেমিটেন্স, আমদানি ও রপ্তানি সবকটি সূচকেই উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এ ব্যাংকটি যে সকল ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তার মধ্যে প্রধান প্রধান কাজগুলো হচ্ছে কর্পোরেট ও রিটেইল আমানত গ্রহণ, ঋণ বিতরণ, ট্রেড ফাইন্যান্স, প্রকল্প অর্থায়ন, লীজ ফাইন্যান্স, চলতি মূলধন ও অন্যান্য অর্থায়ন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড সার্ভিস, অন্তুমুখী রেমিটেন্স সেবা প্রভৃতি। এ ব্যাংকের ২টি শাখায় ইসলামি ব্যাংকিং সেবা ছাড়াও ইসলামিক ব্যাংকিং অনলাইন সেবাও প্রদান করা হয়। প্রিমিয়ার ব্যাংকের নিজস্ব সাবসিডিয়ারি কোম্পানি প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লি. প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্রোকারেজ সেবা এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য মার্জিন লোন দিয়ে থাকে। অর্থাৎ দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন লক্ষ্যেও এ ব্যাংকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রতিষ্ঠার দুই দশকে একটি শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়াতে পেরেছে প্রিমিয়ার ব্যাংক। গত কয়েক বছরে আমরা সব সূচকেই ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছি। গত ৫ বছরে প্রিমিয়ার ব্যাংকের এসব সূচকে ৫০ শতাংশের বেশী প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক অতীতের সিলেক্টিভ টাইপ (বাছাইকৃত) ব্যাংকিং থেকে বেরিয়ে এসে বিগত চার-পাঁচ বছর ধরে এ ধারায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এর সম্পদ ও আমানতের পোর্টফোলিও যথাক্রমে ৩৮,২৮০.০০ কোটি টাকা এবং ২৯,১৩০.০০ কোটি টাকা। তাছাড়াও ২০২১ সালের জন্য সম্মানিত পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১২.৫০% নগদ লভ্যাংশ এবং ১০.০০% শেয়ার লভ্যাংশসহ ২২.৫০% লভ্যাংশ ঘোষনা করেছেন যা কিনা বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এবং বিগত বছরের তুলনার ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারদের জন্য একটি ভালো লভ্যাংশ। এ ব্যাংকটির মূলধন শক্তি ব্যাংকটিকে দৃঢ়তার সাথে ব্যাংকিং সেবা পরিচালনায় অনেক এগিয়ে নিচ্ছে।

⚫ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ.বি.এম. ইকবালের স্বপ্ন

যেকোনো দেশের অর্থনীতির মূল ব্লাড লাইন হচ্ছে সুষ্ঠু ধারার ব্যাংকিং ব্যবস্থা। একুশ শতকের সেরা ব্যাংক বেসরকারি খাতের অন্যতম ব্যাংক দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এ দেশের অর্থনীতিতে সুস্থ ধারার ব্যাংকিং পালন করে চলেছে। তৃতীয় প্রজন্মের শীর্ষ এই ব্যাংকটি শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখছে না-দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য নিরসন ও তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র ও হত দরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেও পালন করছে প্রশংসনীয় ভূমিকা। এই ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক এমপি ডা. এইচ. বি. এম. ইকবাল। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে প্রতিনিয়ত যে দর্শন চিন্তা আলোড়িত হয় তা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, একটি সুখী সমৃদ্ধ স্বনির্ভর ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রতিটি বক্তৃতায় গরিব দুঃখী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলেছেন। তাদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলেছেন, সুখী সমৃদ্ধ স্বনির্ভর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। সে আলোকেই তিনি রাষ্ট্রের মূল নীতিতে এসব সংযোজন করেছেন। এই আদর্শিক চিন্তা চেতনার ফসলই হচ্ছে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড। এ ব্যাংকটি শুধু শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নেই বিনিয়োগ করছে না, হতদরিদ্রদেরও বিনা সুদ/স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করছে যা বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সুফল বয়ে আনছে।
প্রিমিয়ার ব্যাংক বলতে গেলে অন্যসব ব্যাংকগুলোর চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রমী। কারণ এ ব্যাংকটি শুধু মুনাফা অর্জনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে না, দারিদ্র্য বিমোচনওে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ও ভূমিকা। দূরদর্শী ও দক্ষ নেতৃত্ব ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানই এগুতে পারে না। সেদিক তেকে প্রিমিয়ার ব্যাংকে রয়েছে দক্ষ ও অভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন দেশখ্যাত ব্যাংকার, অর্থনীতি বিশ্লেষক মুহাম্মদ আলী, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও’র দায়িত্বে রয়েছেন আলোকিত ব্যাংকার ব্যক্তিত্ব এম. রিয়াজুল করিম, এফসিএমএ। তাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকের ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানব সম্পদের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা ও প্রোডাক্টে বৈচিত্র আনায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি রয়েছে।

BanshkhaliTimes

⚫ গণ মানুষের ব্যাংক

প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড দেশের প্রথাগত প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে। আজ থেকে কয়েক বছর আগে এ ব্যাংকটি অন্য দশটি ব্যাংকের মতো প্রথাগত ব্যাংকিং পরিচালনা করতো। ব্যাংকটি এ ধারায় অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ.বি.এম. ইকবালের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রিমিয়ার ব্যাংক এখন গণমানুষের কাছে পৌঁছেছে। বিশেষ করে কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র, মাঝারি, কৃষি ও নারী উদ্যোক্তাসহ ব্যাপক সংখ্যক গ্রাহককে ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনার জন্যে এ ব্যাংকটি কাজ করছে। শুধু তাই নয়, গত তিন বছর ধরে প্রচলিত ধারার চেয়ে বিকল্প ব্যাংকিং চ্যানেলকে গুরুত্ব প্রদান করছে। ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে ডিজিটাল অ্যাপস পি-মানি। এই অ্যাপসের মাধ্যমে গ্রাহকরা ভালো সার্ভিস পাচ্ছেন। বিকল্প চ্যানেল হিসেবে এটিএম বুথ, এজেন্ট ব্যাংকিং, উপশাখা চালু করেছে। নাম্বার অব অ্যাকউন্টস এর পরিমাণও এখন বেশি বেশি হচ্ছে। আরএমজি খাতে ব্যাপক অবদান রাখছে। আমদানি-রপ্তানিতে এ ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি অন্যান্য অনেক ব্যাংকের চেয়েই ভালো। দেশের গার্মেন্টস শিল্প খাতে প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড গুরুত্বপূণৃ অবদান রেখে চলেছে। এ ব্যাংকে ২৬০টিরও অধিক রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের হিসাব রয়েছে। এ থেকে উপলব্ধি করা যায়, দেশের গার্মেন্টস শিল্পের উন্নয়নে এ ব্যাংকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এছাড়া শিল্প বাণিজ্যের অন্যান্য খাতেও এ ব্যাংকটি তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডা. এইচ.বি.এম. ইকবালের উপলব্ধি হচ্ছে, আজকের যে শিশু, সে-ই আগামী দিনের নাগরিক, তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তার মানসিকতা। এ জন্যেই তিনি চালূ করেছেন স্কুল ব্যাংকিং। প্রিমিয়ার ব্যাংক বাংলাদেশের স্কুল ব্যাংকিংয়ে পাইওনিয়র। এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৭৪৩টি স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায়। তাদের ডিপোজিটের পরিমাণও ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার উপরে। এই ডিপোজিট তারা জমা করছে তাদের টিফিনের টাকা সেভ করে। এই ব্যাংকের উদ্যোগেই শিশু কিশোররা ব্যাংক ব্যবস্থার প্রতি আস্থাবান হচ্ছে, নিজেদেরকে ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। করোনা মহামারির কালেও এ ব্যাংকটি দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে গার্মেন্টসহ রপ্তানি খাতের জন্য প্রণোদনা হিসেবে ৫ হাজার কোটি টাকা বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছে ব্যাংকিং খাতকে। প্রিমিয়ার ব্যাংক প্রায় ৪০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এই কর্মীরা এখন ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরেছে এবং আধুনিক ব্যাংকিং করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড এসএমই খাতকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আলী মনে করেন, আজকের সফল এসএমই ঋণ গ্রহীতারাই আগামী দিনের বৃহৎ কর্পোরেট গ্রাহক হিসেবে উঠে আসবে। সেই সাথে দেশের অর্থনীতিও বিস্তৃতি লাভ করবে, কর্মসংস্থানের উন্নয়ন ঘটবে এবং জাতীয় উৎপাদনেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। প্রিমিয়ার ব্যাংক শুরু থেকেই ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আত্মস্থ করে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে সেই ধারা আরো বেগবান হয়েছে। ফলে গ্রাহক সেবার মানও বেড়েছে। চসড়হবু’র মাধ্যমে ঘরে বসেই গ্রাহকরা লেনদেনসহ নানা ধরনের সুবিধা ভোগ করতে পারছেন। এটি দেশের ব্যাংকিং খাতকে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং এর সাথে সম্পৃক্ত করছে এবং উন্নত দেশের ব্যাংকিংয়ের সমমর্যাদায় প্রতিষ্ঠা অর্জনে সক্ষম হচ্ছে।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও, আলোকিত ব্যাংকার ব্যক্তিত্ব এম. রিয়াজুল করিম, এফসিএমএ বলেন, ‘আমাদের পরিচালনা পর্ষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ. বি. এম. ইকবালের সুদক্ষ নেতৃত্বে এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দূরদর্শিতায় আমরা আমাদের করণীয় ঠিক করে অগ্রসর হচ্ছি এবং এরই ধারাবাহিকতায় করোনায় ব্যতিক্রমী কর্মপরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রিমিয়ার ব্যাংক। যখন যেখানে জনবল প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে আমরা নিয়োগ দিচ্ছি; নিয়মমাফিক সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগরণের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট প্রদানসহ সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রয়েছে। করোনা সৃষ্ট মন্দা কাটাতে এবং রাষ্ট্রীয় ঋণ প্রণোদনাসহ অন্যান্য ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশীয় অর্থনীতিতে কার্যকর অবদান রাখতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’ বেসরকারি খাতের এই ব্যাংকটি অত্যন্ত আস্থা ও বিশ্বাসের সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ধারাবাহিক আর্থিক ফলাফল, কর্পোরেট সুশাসন, নৈতিকতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতায় যথাযথ পরিপালনের দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হয়েছে। এসব অর্জনের পেছনের মূল মানুষটি হলেন পরিচালনা পর্ষদের দক্ষ চেয়ারম্যান ডা. এইচ. বি. এম. ইকবাল। তিনি এ ব্যাংকটিকে অভিভাবকের মতো আগলিয়ে রাখেন। তিনি বলেন, আমরা ব্যাংকের উদ্যোক্তা, ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি সত্য কিন্তু আমরা এ ব্যাংকের মালিক নই; মালিক এর গ্রাহক যারা এখানে ডিপোজিট করেছে। তাদের সেই আস্থাকে সংরক্ষণ করার দায়িত্ব আমাদের। তিনি প্রতিনিয়ত ব্যাংক নির্বাহীদের এই বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন বলেই আমরা ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পেরেছি, আপনারা ব্যাংকের এমডি, ডিএমডিসহ অফিসার হতে পারছেন। দেশ স্বাধীন না হলে কেরানী হয়ে থাকতে হতো। এতো উন্নয়ন, এতো ব্যাংক এতো শিল্প প্রতিষ্ঠান করা সম্ভব হতো না। সুতরাং সকলকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। তাঁর দিক-নির্দেশনায় প্রিমিয়ার ব্যাংক
গণমানুষের ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভে সক্ষম হচ্ছে। গ্রামের কৃষক-শ্রমিক এমনকি হতদরিদ্ররাও এই ব্যাংকের সাথে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ পাচ্ছেন এবং ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে জীবন মানের উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হচ্ছেন। সময়ের আধুনিক ব্যাংক প্রিমিয়ার ব্যাংক প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড প্রতিষ্ঠার বাইশ পেরিয়ে তেইশ বছরে পদার্পণ করছে। এই মাহেন্দ্রক্ষণে সবাইকে শুভেচ্ছা।

লেখক: মো. তারেক উদ্দিন, ইভিপি, হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং অ্যান্ড পিআর, দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *