বাঁশখালীর জনগণের দুর্ভাগ্য হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্তিশালী, প্রভাবশালী, সাহসী ও জনগণের মনের ভাষা বোঝার মতো কোনও প্রার্থী কখনোই না পাওয়া। অতীতে কিছু নেতা পেলেও তাঁরা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। জনগণের ভাষা, আশা- আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারেননি। এবং রাজনৈতিক জীবনে তাঁরা যেমন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তেমনি বঞ্চিত হয়েছেন বাঁশখালীবাসী। এরশাদ সরকারের আমলে ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় সকল মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি এমনকি চট্টগ্রামের প্রথম মেয়র সরকারী দলের হওয়া সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারেননি।
১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রের পর বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে সরকার গঠন করেছে একদল আর এমপি হয়েছে অন্য দলের। যদিও ২০০১ সালের নির্বাচনের পর মন্ত্রীপরিষদেও তৎকালীন এমপি স্থান পেয়েছিলেন। তখন বাঁশখালীবাসী আশাবাদী হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা গেল যে লাউ সেই কদু। সবাই শুধু স্বপ্নই দেখিয়েছেন। সুতরাং উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা থেকে বঞ্চিত থেকেছি আমরা। যা বাঁশখালীবাসীকে অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে দিয়েছে।
চট্টগ্রামের ১৬ টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আমরাই সবচেয়ে পিছিয়ে অনেককিছুতে। আত্মসমালোচনা হিসেবে কথাটি স্বীকার করতেই হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন।
জোট, মহাজোট ও স্বতন্ত্র হিসেবে ইতোমধ্যে অনেকেই নির্বাচনী মাঠে। আমরা যারা নতুন প্রজন্ম এবং যারা বাঁশখালীকে নিয়ে ভাবছি আমাদের সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও পছন্দের ব্যক্তি বা প্রার্থী থাকতে পারে। কিন্তু প্রথমেই চিন্তা করতে হবে আমাদের সামগ্রিক উন্নয়ন।
বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে, আগামীবার কারা সরকার গঠন করতে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল রেখে রায় দিতে হবে। না-হলে পরে আবার আফসোস করতে হবে ৫ বছর ধরে। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবো আমরা।
সুতরাং আসুন দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যক্তিগত পছন্দের উর্ধ্বে উঠে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিই।
আমার সার কথা একটাই, সবকিছু বিবেচনা করে সরকার গঠন করবে যে দল সে দলের লোককেই আমারা যেন এমপি হিসেবে পাই। সেই আশাই করি।
আহসান হানিফ
লেকচারার, রাঙ্গামাটি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল & কলেজ
৮ ডিসেম্বর, ২০১৮
