ছোটবোন বলেছিল, হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ে তাঁর প্রতি তোমার একটা আলাদা ভালো লাগা সৃষ্টি হবেই হবে!
তখনও পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের কোনও বই আমার পড়া হয়নি। উল্টো হুমায়ূন আহমেদ ও হুমায়ুন আজাদকে এক ভেবে একটা ঘৃণা বেড়ে উঠেছিল না-পড়ে, না-জেনেই, শোনাকথায়!
বোনকে বলেছিলাম, হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ব কিন্তু তাঁর প্রতি কোনও ভালো লাগা বা ভালোবাসা মনের মধ্যে তৈরি হতে দেবো না।
শুরু করলাম, হিমুসমগ্র দিয়ে…
তাঁর বইপড়া শুরু করলে আর থামতে ইচ্ছা হয় না, প্যারায়-প্যারায় কৌতুহল জাগায়, কাহিনি হবার কথা একরকম, কিন্তু হয়ে যায় যা ভাবিনি তা। হাস্যরস, হিউমার, হাদিসসহ কতকিছুর যে সমন্বয়! একজন পাঠককে বই ছেড়ে সহজে উঠতে দেয় না, আবার তাঁর নতুন বইয়ের দিকে হাত দিতে বাধ্য করে।
এভাবেই তিনি তাঁর বইয়ের মতো তাঁকেও ভালো লাগতে, ভালোবাসতে বাধ্য হতে বাধ্য করে তাঁর জাদুকরী লেখনি দিয়ে!
সেই ৯৮ সালের ভালো লাগাবো না, ভালোবাসবো না- বলা আমি দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে ভালোবেসে যাচ্ছি। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে কেঁদেছি, যেন তিনি আমার রক্তের সম্পর্কের কোনও স্বজন!
আজ ১৩ নভেম্বর। জীবিত থাকা কালে এই দিনে তাঁর দখিন হাওয়ায় লোকজন ভরে যেত। তিনি নিজের লেখা বই ভক্তদের উপহার দিতেন- এইদিনটি তাঁর জন্মদিন বলে।
শুভ জন্মদিন প্রিয় কথার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ, আল্লাহ আপনাকে জান্নাতে নসিব করুন।
আরকানুল ইসলাম
নির্বাহী সম্পাদক, বাঁশখালী টাইমস