নিটোল প্রেমের লিটল ছড়া
আরকানুল ইসলাম
কেমন তোমায় ভালবাসি
আমিই কেবল জানি,
প্রথম দেখার পর হতে আজ
তুমিই মনের রানি।
ছিলে মনে, আছো আজো
থাকবে জীবন ভরে,
মন যে আমার নামটি তোমার
প্রত্যহ জপ করে।
আমার কথা, আমার স্মৃতি
ভুলে গেলে নাকি?
তোমায় ভেবে বালিশ ভেজায়
অশ্রু সজল আঁখি।
আজো আছি একলা আমি
তোমার অপেক্ষাতে,
দু’চোখজুড়ে ঘুম আসে না
আসে না ঘুম রাতে।
ভোলার জন্য চেষ্টা করি
ভুলতে পারি না যে,
একলা দখল হয়ে আছো
আমার মনের রাজে।
একটা সময় থাকতে কাছে
প্রজাপতির মতো,
এখন তো খুব এড়িয়ে যাও
হৃদয় করে ক্ষত!
তোমার জায়গা পাবে না কেউ
সুন্দরী হোক যতো,
ভালবাসার ঝর্ণাধারা
বইছে অবিরত।
কবিতাফোবিয়া
অভিলাষ মাহমুদ
সারা নিশি জেগে থাকি …
আমার দুচোখের ঘুম কেড়ে নেয় কবিতা।
প্রিয়তমার আঁখি দুটো যেন কবিতা কবিতা…
চিকন বংশীর মত নাসিকা …
মেঘের মত কুন্তল ঢেউয়ের ভাঁজে গড়িয়ে পড়েছে বুকের উপর।
ঘাড়ো গোলাপি ঠোঁট… চিবুক… চেয়ে থাকি অপলকে।
তোমাকে ভাবতে ভাবতে চোখ ভ্রমণ করে রাত্রির তারা জ্বলমল মেঘমুক্ত আকাশে।
সেখানেও তোমার প্রতিচ্ছবি।
চাঁদ আমায় বলে আজ রাতের সমস্ত জোছনা
তোমার মন মানসীর জন্য উৎসর্গ …
রাত, চাঁদ, আকাশ আর তোমাকে নিয়ে
মনের খাতায় প্রেমের কলমে লিখি-
ভালোবাসার সরল পদ্য।
যা-ই চোখে পড়ে সবই কবিতা কবিতা মনে হয় আমার কাছে।
শব্দের দুর্বোধ্যতা নয়।
নয় কোন রহস্যের ধাঁধাঁ।
সবই সরল, সবই সহজ, সবই সুন্দর।
প্রকৃতির সবুজ পত্র পল্লবে জলছাপ দেখি তোমার অবয়বের।
কবিতা কবিতা লাগে সবই…
প্রিয়তমা, তুমি যদি মনোবিজ্ঞানের ডাকতার হতে তবে বলতে- হে প্রিয়তম শায়ের!
তোমার তো কবিতা ফোবিয়া হয়েছে।
অতিসত্বর কাউন্সেলিং… ট্রিটমেন্ট দরকার।
অবৈষয়িক লেনাদেনা…
আলাউদ্দিন কবির
তোমাকে কল করেছি
চাকরি চাইতে নয়; শুধুই খবর নিতে।
তোমাকে ফোন দিয়েছি
ধারের জন্যে নয়; কেবল কথা বলতে।
তোমাকে সালাম ঠুকি
ভয়ের কারণে নয়; খাদহীন ভক্তিতে।
তোমাকে মেসেজ লিখি
সময় কাটাতে নয়; প্রণয়ের শক্তিতে।
তোমাকে বুকে জড়াই
কাম কি কামনা নয়; প্রশান্তির খোঁজেই।
তোমাকে তুলতে চাই
ফ্ল্যাট কিবা প্রাসাদে নয়; টিনশেড ঘরেই।
তবু তোমরা কেউ বুঝলে না
তবু তোমাদের কেউ বুঝতে চাওনি—
অবৈষয়িক লেনাদেনা..!
একাকী হেঁটে পায়নি নিস্তার
মোস্তফা হায়দার
সোহাগবতী নুয়ে পড়ে দেখে সুখের হিড়িক
ব্যথায় কুঁকড়ে কাঁদে সুখের পসরায় জুলেখা
প্রেমের দরিয়ায় খুঁজে ফিরে অজানা সুখে
বাতায়নে ভেঙ্গেছে পলাতক রাজার লিরিক।
নূহের তরীখানি হঠাৎ দেখে চোখের কার্নিশে
অর্জনলীলায় একাকি হেঁটে পায়নি নিস্তার
ভরা জলে ভেসে দেখে কাঁদছে ভুলের মিনার
জ্যৌতিতে সুরমা পেয়েছে তুরপাহাড়ের বালিশে ।
মুসারা আজ গিলছে বসে বর্শার ধনুক
চোখে লাগায় সুরমা আতর গায়েতে জুব্বা হুজুগ
বসে বসে তাসবীহ জপে হিসেব দেবার মূলে
সাতসাগরের ফেনা এসে নিচ্ছ তাদের তুলে।
ঘুম ভাঙ্গে না নিদ্রা মাগে হেরেম কাবার পাশে
জাতের হিসেব ভুলতে বসে সব দিয়েছে সর্বনাশে।
কোন অজানায় ঘাড়ে বসে পেলে তুমি বাপ
মানুষ মেরে সুখ পেলেও বাড়ছে শুধু পাপ।
নাচ্
হ. ম. সাইফুল ইসলাম মনজু
তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ ধিনধিন তাক্,
নাচ্ নাচ্ জোরে তোল্ নওসুরে গান, সবথাক!
অাসে জয়রাণী ঐ নওবাণী শোন্ পাত্ কান,
হাসি অম্বরে শত দম্ভ রে হয় সবম্লান!
যারা চুলকা রে যেন উল্কা রে দ্যাখ দ্যাখ ধায়,
সুখ-শিৎকারে ছিল, চিৎকারে ডেকে বাপ-মায়।
তোল্ জয়ধ্বনি নয় গুণগুণি নাচ্ ঘুর্-পাক,
তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ ধিনধিন তাক্।