বাঁশখালীতে শীত নামতে শুরু করেছে। ক’দিন আগেও এমন একটা ভাব দেখিয়েছিল যে, আমি এসে গেছি! কিন্তু সেটা দুদিনও টেকেনি। গরমের চোটে পালিয়ে গিয়েছিল। গতকাল থেকে কুয়াশা-কুয়াশা ভাবটা এসেছে, সন্ধ্যা হতেই ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরে জানান দিচ্ছিল। মাঝরাতে ফ্যান করে কাঁথা টানতে বাধ্য করেছে! অাবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, এবার শীত ঝেঁকে বসবে!
কার্তিকের কুয়াশায় শীত একটু নাড়া দিয়েই যাই যাই করছিল। ভাবখানা এমন—একটু পরেই আসি। ব্যস, কুসুম কুসুম গরম এসে জায়গা দখল। অঘ্রাণ আসতেই চারদিকে হাহাকার—শীত কই, শীত কই? মেঘ বলল, শীতের জন্য তড়পাচ্ছ? দাঁড়াও দেখাচ্ছি! নামিয়ে দিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। তারপর গরম আর শীতের কাঁথা–টানাটানি। গরম এসে বলে, কাঁথা সরাও। শীত বলে, কাঁথা নাও। অবশেষে মৌসুমি হিমেল বাতাস এসে বলল, এই গরম, যা ভাগ!
কাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বাতাসে শীতের আমেজ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বলছে, তাদের হিসাবে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে সারা দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গড়ে ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে। এর সঙ্গে হালকা কুয়াশাও পড়েছে। ১৯ নভেম্বর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজারহাটে ১৪ দশমিক ৫। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায়। আর রাজধানী ঢাকায় এটি ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।