বিশ্বসংবাদ ডেস্ক: শান্তিতে এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধে কাজ করছে এমন একটি সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন্স বা আইক্যান-এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
নরওয়েতে নোবেল কমিটি বলছে, পরমাণু অস্ত্রের ভয়াবহ পরিণতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং এই অস্ত্রকে নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টার জন্যে এই সংগঠনটিকে এবার শান্তি পুরস্কার দেওয়া হলো।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয় হিসেবে আইক্যানের নাম এমন এক সময়ে ঘোষণা করা হলো যখন পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের তরফে পরস্পরকে আক্রমণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
নোবেল কমিটি থেকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি বর্তমানে গত বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বেরিট রেইট এন্ডার্সন এসময় উত্তর কোরিয়ার কথাও প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে চুক্তির ব্যাপারে সংগঠনটি বড়ো রকমের অগ্রগতি সাধন করেছে।
পরমাণু অস্ত্রকে পর্যায়ক্রমে নির্মূল করার লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করার জন্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিও তিনি আহবান জানিয়েছেন।
আইক্যানের চাপে এবছরেরই জুলাই মাসে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে জাতিসংঘে ১২২টি দেশ এক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
কিন্তু পরমাণু শক্তিধর ৯টি দেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ, এই প্রস্তাবে সই করেনি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু এবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপন্স নিজেদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেসরকারি সংস্থার একটি জোট বলে বর্ণনা করে।
দশ বছরেরও বেশি পুরনো জেনেভা ভিত্তিক এই সংগঠনটি বলছে, একশোটিরও বেশি দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এই জোটের সদস্য।
পুরস্কার হিসেবে আইক্যান পাবে ১১ লাখ ডলার ও একটি নোবেল পদক। আগামী ডিসেম্বর মাসে এক অনুষ্ঠানে সংস্থাটির হাতে এসব পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
এর আগেও পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে আরো একটি গ্রুপ।
পাগওয়াশ গ্রুপ নামের একটি সংগঠনটিকে ১৯৯৫ সালে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিলো।
সূত্র: বিবিসি