লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক বিধবা নারীকে (৩৮) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের পর ওই নারীকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ঘরের পেছনে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে রামগতি থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধ মামলা করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রাম থেকে জামাল ও সোহেল নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্তরা কয়েকদিন আগে ওই নারীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে ওই নারী আদালতে মামলা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তরা ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বাড়িতে তিনি একাই থাকেন ওই বিধবা নারী। এ সুযোগে অভিযুক্তরা প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। মাসখানেক বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। তখন ওই নারীকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। এখনও তার হাত ও পায়ে ব্যান্ডেজ রয়েছে। ওই ঘটনায়ও আদালতে একটি মামলা করা হয়েছিল।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শনিবার রাতে দরজা ভেঙে আসামিরা ঘরে ঢুকে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে রশি দিয়ে হাত-পা ও টেপ দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে ঘরের পেছনে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
রবিবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, বিধবা নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে। বাকি তিন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
আরো পড়ুন – নোয়াখালীতে গৃহবধূকে নিষ্ঠুর কায়দায় ধর্ষণ
সূত্র – ঢাকা ট্রিবিউন