বিপ্লবী নিশান: রোহিঙ্গা দের জন্মই যেন আজন্ম পাপ।
না হলে ইতিহাসটা এমন হবে কেনো!
১৭৭৫ সালঃ
৩০ হাজার মগ সেনা আরাকানের প্রায় তিন হাজার
মসজিদের সবকটিই ধ্বংস করে দেয়।
নিহত হয় প্রায় দেড় লাখ।
৩০৭ টি রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রাম হয় জনশূণ্য!
১৮২৫ সালঃ
ইংরেজরা ১৮২৫ সালে প্রায় বিনা
বাঁধায় বার্মা দখল করে। রোহিঙ্গা মুসলিমরা
একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করে,
নির্যাতনের মাত্রা অনেক হ্রাস পায়।
১৯৪২ সালঃ
জাপানের দখলে চলে যায় পুরো বার্মা।
জাপানের দখলে যাওয়ার পরই বার্মিজরা
রোহিঙ্গাদের কচুকাটা শুরু করে!!
বেসরকারি হিসেবে ১৯৪২ থেকে ১৯৪৪
সাল এই দুই বছরে তিন লাখ
রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়।
১৯৪৪ সালঃ
ইংরেজরা আবার বার্মা দখল
করে। রোহিঙ্গারা আবার স্বায়ত্বশাসন ফিরে পায়।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পায় বার্মা। ওই সময়
আরাকান পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ
দিতে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর কাছে
আবেদন করে। কিন্তু জিন্নাহ তাতে
রাজী না হলে আরাকান বার্মার হয়ে
যায়।
৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পরই
বার্মা রোহিঙ্গাদের নাগরিক
হিসেবে অস্বীকার করে। শুরু হয়
সরকারি মদদে রোহিঙ্গা নিধন। তবে
ভয়াবহতা লাভ করে ১৯৬২সালে।
বার্মায় সামরিক শাসন জারির পর।
_________
–সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সকল সরকারি চাকরিতে
রোহিঙ্গাদের নিয়োগ লাভ নিষিদ্ধ হয়।
–৭১ সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে
নেওয়া হয়। তাদের বলা হয়- বার্মায়
বসবাসকারী কিন্তু নাগরিক নয়।
–৭৪ সালে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
–৭৮ সালে আবার শুরু হয় রোহিঙ্গা
নিধন। অবস্থা এতটাই অমানবিক ছিল
যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা
বাংলাদেশে ও সমপরিমাণ রোহিঙ্গা
থাইল্যান্ডে পালিয়ে যায়। ওই সময় ৫৫
হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়
বলে ধারনা করা হয়।
–৮৮ সালে
রোহিঙ্গাদের ভ্রমনে বিধিনিষেধ,
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিধিনিষেধ
দেওয়া হয়। এতে করে রোহিঙ্গারা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ
হারায়। ভ্রমনে বিধিনিষেধ থাকায়
বার্মা থেকে পালানোর উপায়ও ছিল
না।
— ৯০ সালে
আবার রাখাইন-রোহিঙ্গা দাঙ্গা শুরু
হয়। এই সময়েও প্রচুর রোহিঙ্গা দেশ
ছাড়ে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের
চাপে দুই লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে
ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয় বার্মা।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইতিহাস বড়ই করুণ। যুগ যুগ ধরে
নির্যাতীত রোহিঙ্গাদের আর্তনাদে বাতাস প্রকম্পিত হচ্ছে।