মানবতার বিপর্যয়ে কোন লেখকই নিরব থাকতে পারে না। ঐতিহাসিকভাবেই এ সত্যকে মেনে নিয়ে লেখকেরা শব্দকে ব্রহ্ম বানিয়ে চালিয়ে যায় নৈতিক যুদ্ধ। বর্তমান মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের প্রতি যে অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে তা লেখক কেন কোন মানুষই মেনে নিতে পারে না। ঐতিহাসিক চেরাগি মোড় থেকে আমরা এর ধিক্কার জানাই, তীব্র প্রতিবাদ আর ঘৃণা তাদের প্রতি।
২২ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৪টায়, চেরাগি মোড়ে সাহিত্যবিশারদ সুহৃদ চট্টগ্রামের আয়োজনে বিশ্বব্যাপী মানবতার অবমাননা ও রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কবিতা পাঠের আসরে কবি-লেখকেরা উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন। বক্তারা এদেশের সরকার ও আপামর জনসাধারণের ভূমিকাকে মানবিক, প্রীতিময় ও আন্তরিক বলেও উল্লেখ করেন তবে অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের নাগরিক সব সুবিধা দিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বারবার মনে করিয়ে দেন অং সাং সুচি ও মিয়ানমার সরকারকে।
ইলিয়াস বাবরের সঞ্চালনায় ও শহিদুল আলীমের সভাপত্বিতে সূচনা বক্তব্য দেন মোস্তফা হায়দার। কবিতা ও কথামালা নিয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন— কবি ও শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল, মিজানুর রহমান শামীম, মুক্তিযোদ্ধা এম.এ খালেক, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান লেখক আখতারুল ইসলাম, নান্টু কুমার দাশ, আল জাবিরী, মাহমুদ হায়াত, আকাশ আজিজ, সুজন কুতুবী, তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী, রবিউল হোসাইন, বখতেয়ার উদ্দিন, অনার্য আমিন, মিজান মনির, মুনাজুর রহমান, আবু ইউসুফ সুমন, আহমেদ পলাশ, আহসান ফারুক, হোসাইন মোস্তফা, সৈয়দ ইবনুজ্জামান, সালমান ফারসী প্রমুখ সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্মী।
কবিতার মাধ্যমে মানবতার জয়গানে মুখরিত চেরাগি প্রাঙ্গন থেকে বারবার নোবেল জয়ী সুচি ও বিশ্বসম্প্রদায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তোলা হয়। কবিতার মাধ্যমে প্রতিবাদের ঐতিহ্যিক যে ধারা তা সামনে আনার জন্যে সাহিত্যবিশারদ সুহৃদের আয়োজন প্রশংসার দাবিদার বলেও মত দেন শব্দযোদ্ধারা।