
চৌধুরী আফাজ, বাঁশখালী টাইমস: যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে সমাজবিজ্ঞানের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি- পিএইচডি (ডক্টর অব ফিলোসোফি) লাভ করেছেন সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদ বাঁশখালীর কৃতিসন্তান ড. আব্দুল্লাহ ইবনে শহীদ।
ড. আব্দুল্লাহ অর্থনৈতিক সমাজবিজ্ঞান, সংগঠন, সামাজিক সম্পর্ক ও সামাজিক বৈষম্য নিয়ে গবেষণা করে এই ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাস্টার’স অব আর্টস, হিসাববিজ্ঞান, প্রায়োগিক অর্থনীতি ও ফিন্যান্সের উপরে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কর্নেল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অর্গানাইজেশন ও ফিন্যান্সিয়াল একাউন্টিং বিষয়ে পাঠদান করছেন।
ছোটবেলা থেকে তুখোড় মেধাবী ড. আব্দুল্লাহ বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের গর্বিত সন্তান। তিনি আনোয়ারাস্থ এর্শাদ আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মরহুম শহীদুল ইসলাম সরকার ও শাহেদা বেগমের প্রথম সন্তান। তাঁর অপর দুই ভাই ড. আব্দুর রহমান বিন শহীদ কম্পিউটার সায়েন্সে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন এবং ডাঃ আব্দুল মুতাকাব্বির বিন শহীদ একজন এমবিবিএস (সার্জন) হিসেবে কর্মরত।
ড. আব্দুল্লাহ পূর্ব পুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাটমুড়া পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, তৈলারদ্বীপ বারখাইন এর্শাদ আলী বহুমুখী বিদ্যালয় ও কাজেম আলী হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী৷ তিনি সরকারী হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে এইচএসসি ও ঢাকাস্থ ইন্ডিপেন্ডন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ থেকে প্রথম স্থানসহ অনার্স সম্পন্ন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ডাবল গোল্ড মেডেল ও প্রথম স্থানসহ এমবিএ (ফিন্যান্স) ডিগ্রি অর্জন করেন।
বাংলাদেশে ড. আব্দুল্লাহ মাইক্রোফিন্যান্স, কর্পোরেট ব্যাংকিং ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিংয়ে কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেন৷ এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভে তিনি প্রভাষক হিসেবে ব্যবসায় প্রশাসনের বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ড. আব্দুল্লাহ বর্তমানে ফিনান্সিয়াল সেক্টর পলিসি ও বঞ্চিত জনগণের আর্থিক ক্ষমতায়নে গবেষক ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। তাছাড়া তিনি নিজস্ব-পরিকল্পিত পাঠ “উদ্ভাবনের বিস্তার” (ডিফিউশান অবইনোভেশান) নিয়ে পাঠদান করবেন জার্মানির ঐতিহ্যবাহী টুবিনগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নিজ গ্রাম পুকুরিয়া, বাঁশখালী ও আনোয়ারা থানার জনগণের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখা পেশাজীবনের একটি অন্যতম স্বপ্ন বলে জানিয়েছেন তিনি। পেশাগত জীবনের এই সাফল্যের জন্য তিনি আল্লাহর কাছে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন। একই সাথে তিনি মাতা শাহেদা বেগম, স্ত্রী নাজিয়া, পুত্র আইয়ুব, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও নিজ এলাকার জন্য আরও সুখবর নিয়ে আসতে তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।