শপথ বঞ্চিত বাঁশখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এমরানুল হক ইমরান বাঁশখালী টাইমসকে বলেন- যার কেউ নাই তার সাথে আল্লাহ আছে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত। জনগণ আমার সাথে আছে। আমি আইনী লড়াই চালিয়ে যাবো।
এ প্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে দেয়া তাঁর পোস্ট হুবুহু তুলে দেয়া হলো-
২২-১০-১৯৮৮ তে আমার জন্ম,ত্রিশে পা দিলাম।২০০৩ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং দায়িত্বে ছিলাম। বাংলাদেশের আলোচিত শেখেরখীল ইউনিয়ন তথা শহীদ মৌলভী ছৈয়দ সাহেবের এলাকায় আমার জন্ম,উনি আমার আত্বীয়ও হন। আমার শ্রদ্ধেয় নেতা মরহুম সুলতানুল কবির চৌধুরীর একান্ত আন্তরিকতায় শেখেরখীল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্টাকালিন সাধারন সম্পাদক হই।পরবর্তীতে ২০১৪ ইং সাল থেকে ২০১৮ইং সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি।জীবনে কারো কোন ক্ষতি করার কখনো চেষ্টা করি নাই।চেয়েছি আমার দলকে, আমার সহযোদ্ধাদেরকে কেউ খারাপ না বলুক এবং সব সময় চেষ্টা করেছি জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন যেন আমি এবং আমার সহযোদ্ধাদের কারণে প্রস্নবিদ না হয়।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস রাজনীতি করে জীবনে সর্বশান্ত হয়ে গেলাম। না দিতে পেরেছি নিজের পরিবারকে কোন কিছু, না দিতে পেরেছি আমার ছাএলীগের সহযোদ্ধাদেরকে কিছু এবং না দিতে পেরেছি আমার আত্বীয়স্বজন,বন্ধুবান্ধব,শুভাকাঙ্ক্ষী সহ বাঁশখালীর মানুষকে কোন কিছু।শুধু মন থেকে ভালবাসাটা দেয়া ছাড়া আমার আর কিছুই ছিল না। বেয়াদপিও করিনি কারো সাথে।যাক বাঁশখালীর জনগন আমাকে ভালবেসে বিপুল ভোট দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।আমি সারাটা জীবন আপনাদের কাছে ঋৃনী হয়ে রইলাম।আমিও একজন আপনাদের ছেলে,আপনাদের ভাই,আপনাদের বন্ধু,আপনাদের শুভাকাঙ্ক্ষী।সর্বপরী বাঁশখালীর একজন নগণ্য নাগরিক হয়ে নিজ দলের নেতৃবৃন্দ কতৃক উপর্যপুরি ষড়যন্ত্রের বিচারটা আপনাদের কাছে আরোপিত করলাম।
আজ ক্ষমতা এবং টাকার কাছে সাময়িক হেরে যাচ্ছি, আপনাদের দোয়ায় ও ভালবাসায় আল্লাহর বিচার এবং আইনের বিচারে আমি হারবো না। ইনশাআল্লাহ্।দোয়া প্রার্থনা করছি।
