বরাবরে ,
সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী চাচা ।
,বৈলছড়ি, বাশঁখালী,পাঁচলাইশ চট্টগ্রাম।
পত্রের শুরুতে অভাগা বাঁশখালী বাসীর সালামও মোবারক বাদ রইল। আশা করি মালেক শাহ বাবাজির দয়ার বরকতে ভাল আছেন । আমরা ও পশ্চিম বাঁশখাইল্লারা ৯১সালের প্রলয়ংকরি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়া জানে বাঁচিয়া আছি। চাচা এখন আর ভয় নাই মোস্তাফিজুর চাচায় সংসদে কাঁদিয়া চিল্লাইয়া মজবুত একখান বেড়ীবাধঁ দিয়া আমাদের ভয় ডর দুর করিয়া দিয়াছে । তয় চাচা ভালার নাম হালায় ও কয়। শাহজাহান চাচার পর হইতে আপনি আমাগো এম পি সে যে আসহাব উদ্দিন চাচার বাস মার্কারে ডিফিট দিয়া ধান মার্কার এম পি হইলেন দীর্ঘ সময় পর ৯০সালে লাঙ্গলে শেষ করিলেন । তয় চাচা এর মধ্যে আপনি একজন কর্মীও সৃষ্টি করিতে পারিলেন না? করিবেনই বা কেমতে আপনে তো ভোট সেন্টারের পাশের কিছু চৌধুরী তালুকদার ছাড়া অন্য কারো সাথে সম্পর্ক ও রাখতেন না । চাচা মনে পড়ে আপনের ওসি মনির চাচায় যে সাচি মিয়ারে পিটাইয়া মারছিল!চাচা পাপ বাপরে ও ছাড়েনা । নন্নাইয়ার চা দোকানে হুনলাম গাড়ি ওয়ালাদের নাকি চানপুর পোলে ট্যাকা টুকা দিতে অয়না টোল ঘর নাকি সাঙ্গু খালে ফেলিয়া দিয়াছেন তয় চাচা এতে পাবলিকের কি উপকার হইল ওয়াকিবহাল হইতে কষ্ট হয়। যাক সবাই যখন ভাল বলিতেছে আমার কি! রোডে ঘাটে দেখি গাড়ির পেছনে আপনের ছবি চাচা বাঁশখালীতে শ্রমিক ধরলাম দশ হাজার এদের অবশ্যই উপকার হইছে । চাচা পশ্চিম বাঁশখালীর ৬টা ইউনিয়নে কম করে হলেও দুই দেড় লাখ মানুষ আছে মোস্তাফিজুর চাচায় বেড়ীবাধঁ নির্মাণ করিয়া এদের জীবন সহ বাড়ি ঘর রক্ষা করিয়াছে । আপনার ছবি যদি ১০টাকার জন্য প্রতি CNGর পিছনে লাগে তাইলে জীবন বাঁচানোর জন্য মোস্তাফিজুর চাচার ছবিতো প্রতিটা বাঁশখালীবাসীর বুকে লাগানো উচিত । তয় চাচা বিজ্ঞাপনের খেলটা আপনি বরাবরই দারুণ খেলতে জানেন।আপনার সাথে যে মার্কিনি লবির একটা সম্পর্ক আছে এটা সবতে না জানলেও এই সরল মিয়া জানে । মোস্তাফিজুর চাচায় ঢাকায় অবস্থান করা অবস্থায় সুক্ষ ভাবে এমন চাল দিলেন ,যে আপনার বীরোচিত সংবর্ধনা সভার যাতে বিরোধীতা করে যেহেতু এরশাদ মিয়া প্রধান অতিথি সেহেতু এই ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাপি আলোচিত হইবে। নাদান আওয়ামী গুলি ও আপনার পাতা ফাঁদে পা দিয়া রাজনীতির “রা” “বা” নাবুঝিয়া মিছিল মিটিং করিয়া আপনারে গালাগাল দিয়া আলোচনায় নিয়া আসিল।এখন পাড়ায় পাড়ায় আপনার আলোচনা। বিরোধীতা করিতে গিয়া ও হিরো বানাইয়া দেয় এটা আওয়ামী চাচারা না জানিলেও আপনি ভাল করিয়া জানেন । আমি আচার্য হইলাম যে গফুর চাচার মত অভিজ্ঞ ও রাজনীতি সচেতন লোক আপনার ফাঁদে পা দিয়া বৈলছড়ি স্কুলের মাঠে বক্তিতা করিল ।সুলতান মিয়া থাকিলে কখনও এই কাজ করিতে দিতেন না । কারন সুলতান মিয়া জানিত কোন ব্যক্তি আলোচনায় আসে তখনই যখন সে সমালোচিত হয়। তয় চাচা পয়লা শুরুতেই যখন লীগের নেতা কর্মীদের দিয়া প্রচারনা চালাইলেন নিশ্চয়ই পরে ও সাকসেস হইতে পারিবেন । গোটা চিটাগাং এর মধ্যে আপনার ব্রেইনের কাজকারবার ধরতে পারে এমন লোক খুবই কম।তয় চাচা যে যতই বলুক আপনার চোখে চোখ রাখিয়া কথা বলিতে সাহস রাখিবে কালিপুরের চেয়ারম্যান শাহাদাত মিয়া হেতে ছাত্র রাজনীতি করা লোক যে কোন ভাবে হেতেরে নিবৃত্ত করিতে পারিলে কেল্লাফতে । চাচা লিটন মিয়া ও মোস্তাফিজুর চাচার ধস্তাধস্তিতে বাঁশখালীর টিকেট আপনার দিকে ছুড়িয়া দিতে পারে যদি গতবারের মত এরশাদ কাকু এমবুলেন্সে না উঠে । এক্ষেত্রে বাবলু চাচারে সাঙ্গুর মোহনার তাজা ইলিশ খাওয়াইয়া ঠিক রাখবেন । চাচা আপনার পুরানা আমলের চৌধুরী তালুকদারারা এখন লীগের ভিতরে ঘোমটা দিয়া আছে আপনি ডাকলেই এঁরা সুরসুর করিয়া লাঙ্গল কাঁধে আপনার বরাবর চলিয়া যাইবে এঁরা সব সময় সুযোগ সন্ধানী একথা লীগের নেতারা না বুঝলেও আপনি ভাল বুঝেন । চাচা আওয়ামী নেতাদের বোকা বানাইয়া যে খেলা খেলিতেছেন এই মত চলিতে থাকিলে আবারও ৮৬সাল আপনার অনুকূলে । চাচা আমজনতা গণতন্ত্র যেমন চিনেনা স্বৈরাচার ও চেনার কথা না, আমরা বাঁশখাইল্লারা সাগরের পানি হইতে বাঁচিয়া দুবেলা খাইয়া ভোটের রাত্রে নগদ টাকায় ভোট বিক্রয় করিয়া সুখে থাকতে পারলেই সুখ। আমরা কৃষকদের কোন ধর্মঘট নেই তাই আপনি আমাগো কথা মনে রাখেন না। মনে রাখলে ৯১তে সাগরের বেড়ীবাধেঁ জাকের মিয়ার পোয়া মাহফুজ মিয়ারে দিয়া খাল কাটিয়া রাখতেন না। চাচা মূর্খ শুক্ষ মানুষ অনেক লিখলাম ভুল হইলে নিজগুণে ক্ষমা করিবেন । বুড়া কালে জেলে গেলে আপনার চাচি কষ্ট পাইব ।
ইতি
অধম সরল মিয়া ( দিদার আলম)
বাঁশখালী ।
* লেখাটি আমরা হুবহু তুলে দিয়েছি- বিটি