নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঁশখালী টাইমস: বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ৩ নং ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া এলাকায় এক যুবতীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার বাঁশখালী থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা দায়ের হয়েছে। নির্যাতিত যুবতীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিসি (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামের ছৈয়দ কাশেমের কন্যা ছদ্মনাম শাহিদ আক্তার (১৮) মায়ের সাথে ঝগড়া করে কাজের সন্ধানে গত সোমবার (২৭ এপ্রিল) নিজ বাড়ি থেকে দুপুরে বের হয়ে পড়ে। সে রাগের মাথায় পায়ে হেটে সে বৈলছড়ি ইউপির ঘোনাপাড়া এলাকায় গিয়ে পৌঁছলে স্থানীয় এক বাসিন্দা খালেদা আক্তারের বাড়িতে অাশ্রয় গ্রহণ করে। ওই সময় স্থানীয় বখাটে আব্দুল মজিদ, আবু তালেক ও অপর এক যুবকসহ যুবতীকে তাদের পরিচিত বলে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আশ্রয় নেওয়া ঘর থেকে নিজ বাড়ী বড়ঘোনা এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যায়। বখাটেরা সোমবার রাত ৯ টার দিকে চেচুরিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া জিত্তা পুকুরের উত্তর পার্শ্বে ম্যালেরিয়া ও গামারি গাছের বাগানে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে গণধর্ষন করে পালিয়ে যায়। ধর্ষিতার কান্নায় পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উক্ত যুবতীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং চিহ্নিত আসামীদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দীন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ধর্ষনের ঘটনায় অাসামী চিহ্নিত হয়েছে। তারা বাড়ি ছাড়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সোর্সের মাধ্যমে আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।