মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২ তম জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর। এবারে জন্মদিনটি ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে উদযাপন করেছে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শুক্রবার উপজেলা পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭২ তম জম্মদিনে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিকেলে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদ মাঠে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার জম্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
উক্ত কেককাটা অনুষ্ঠানে প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা পুলিন বিহারী সুশীলের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শ্যামল দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, জেলা পরিষদের সদস্য শাহিদা আক্তার জাহান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, চেয়ারম্যান এডভোকেট আ.ন.ম. শাহাদত আলম, সরল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছিন, বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী রেহেনা আক্তার কাজেমী,মাহফুজুল হক চৌধুরী,জিল্লুল করিম শরীফি, মোঃ হামিদ উল্লাহ, মিজান সিকদার, ফাহিম চৌধুরী প্রমুখ সহ বাঁশখালী আওয়ামীলীগ, যু্বলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্ধ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন,বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশ নামের একটি ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন তেমনি তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই কেবল বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারবেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সফলভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।বর্তমান সরকার ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছে। মাদরাসা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মান হচ্ছে। সরকার কওমী মাদরাসার ১ হাজার ও আলীয়া মাদরাসার ১ হাজার শিক্ষার্থীকে চাকুরী দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোরআন তেলোওয়াত ছাড়া বাসা থেকে বের হন না। তাছাড়া হাফেজ আলেমদের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রধান মন্ত্রী সর্বদা সচেষ্ট। তিনিই একমাত্র প্রধান মন্ত্রী যার সরকার আমলে মসজিদ মাদ্রাসা সংরক্ষণে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন,বলেন,গত ৫ বছরে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে বাঁশখালীতে। এর আগের চারটি নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হলেও এবার চার বছরে যে কাজ হয়েছে, তা ৪০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। জাতীয় সংসদে দাবি উত্থাপন করে আমার এলাকার পশ্চিম বাঁঁশখালীর উপকূলবাসীর জন্য বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে প্রায় ৩ শ’ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছি। হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ও এক্স-রে মেশিন এনেছি,থানায় নতুন গাড়ি, বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট সংস্কার,বিদ্যুৎতায় সহ আদালত ভবন নির্মান ও উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ইকোপার্কের জন্য ৬ কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছি,কাজ ও প্রায় সমাপ্তির দিকে। ফায়ার সার্ভিসের ভবন নির্মিত হয়েছে,ইতিমধ্যে উদ্বোধনের জন্য সকল প্রস্তুতি সমপন্ন করা হয়েছে। খুব শীগ্রই তার সুফল পাবে সাধারন মানুষ। এলজিইডির মাধ্যমে প্রায় ৩০ টির ও অধিক রাস্তার টেন্ডার হয়েছে, দ্রুত গতিতে বিভিন্ন সড়কের কাজ ও আরম্ব হয়েছে,বেশ কয়েকটার কাজ ইতিপূর্বে শেষ করে উদ্বোধন ও করেছি। সম্প্রতি খানখানাবাদ সড়ক সংস্কারের ১ কোটি ৫১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকার বরাদ্দ এনে দিয়েছি। সব মিলে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে বাঁশখালীতে।
উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ফের নৌকার ওপরেই আস্থা রাখতে হবে জনগণকে। বাঁশখালীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গতবার ও আমাকে ডেকে নেত্রী নমিনেশন দিয়েছেন।এবার ও আমাকে নেত্রী নমিনেশন দিবে বলে আমার শতবাগ আশা ইনশাআলালাহ।তবে দল থেকে যদি নমিনেশন না ও পান তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা যতবার ক্ষমতা আসে ততবার এদেশ উন্নয়নশীল দেশে বিশ্বের কাছে সম্মান লাভ করে। তাই শেখ হাসিনার হাতেই এদেশের মানুষ সবচেয়ে নিরাপদ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দোয়া কামনা করে আগামীতেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দানের জন্য আহবান জানানো হয়।