
মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী টাইমসঃ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের প্রধান সড়ক সংলগ্ন কে বি বাজারে বৈলছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদরুদ্দীন চৌধুরী (সোয়াগু মিঞা)
র মালিকানাধীন ১২ টি দোকান অগ্নিকান্ডে পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। মঙ্গলবার (২১ মে) ভোর রাতে সংঘটিত এ অগ্নিকান্ডে ১২ টি দোকানের মালামাল সম্পূর্ণ পুঁড়ে গিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার অধিক পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক সূত্রে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানাই, মঙ্গলবার (২১ মে) ভোর সকালে চিত্ত রঞ্জনের মালিকানাধীন কসমেটিস ও সেন্ডেলের দোকানে ধৌপ (আগরবাতি) জ্বালানোর সময়
এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে তাদের ধারনা। তবে কেউ কেউ বলছে বিদ্যুৎতের শর্কিট থেকে ।আগুন মুহুর্তের মধ্যে পার্শ্ববর্তী আরো দোকানে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা আগুন নিভাতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা তীব্রতর হওয়ায় মুহুর্তের মধ্যে ১২ টি দোকানের মালামাল পুঁড়ে সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে যায়।
অগ্নিকান্ডে যাদের দোকান পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়,বাসু দাশের মালিকানাধীন (কাপড়ের দোকান),মোঃ নেজাম উদ্দীনের (দর্জির দোকান),ডাঃ যতিশ বাবুর (ঔষুদের ফার্মেসি),চিত্ত বাবুর (কসমেটিস এবং সেন্ডেলের দোকান),লক্ষি পদ দাশের ( হোমিওপতিকের দোকান),লিটন দাশের (স্বর্নের দোকান), (হার্ডওয়াড়ের দোকান ২ টি),আশিষ দাশের (ফানের গোডাউন) আমির হোসেনের (কুলিংকর্নার ও ফ্রুটসের দোকান) সহ পার্শবর্তী আরো ৩-৪ টি দোকানের ফটক অগ্নিকান্ডে পুড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ব্যবসায়ীরা।
এদিকে স্থানীয়রা আগুন নিভানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে খবর পেয়ে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হওয়ার অাধা ঘন্টার মধ্যে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এসে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অাগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে টিনের ছাদে হাত পা কেটে অন্তত স্থানীয়দের মধ্যে প্রায় ৭-৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের একজন দোকান মালিক আমির হোসেন জানান,মঙ্গলবার মধ্য রাতে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হলে মুহুর্তের মধ্যে আগুন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এতে ১২টি দোকানসহ আরো বেশ কয়েকটি দোকানফটক পুঁড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে আমাদের পরিবার চালানোর একমাত্র আয়ের স্থানগুলি পুঁড়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি আমরা।’ ঘুরে দাড়াবার মতো আমাদের কোন সহায় সম্বল নাই।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের টিম প্রধান লিটন বসনু জানান, ঘটনা সংঘটিত হওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যে খবর পেলে আমার টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি।
এ দিকে অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কপিল উদ্দীন সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।