মুহাম্মদ মিজান বিন তাহের, বাঁশখালী: বাঁশখালীর বৈলছড়িতে কোরআনে হাফেজা নারীকে গণধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ১৩ জুলাই বিকাল ৬ টার সময় আনোয়ারা- বাঁশখালী পিএবি প্রধান সড়কের বৈলছড়ি কে.বি বাজারে মানববন্ধন থেকে অনতিবিলম্বে ঘাতকদের দ্রুত গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শফকত হোসেন চাটগামী, বাঁশখালী ইসলামী যুব কাফেলার সভাপতি মাওলানা জুনাঈদুর রশীদ শওকী, বৈলছড়ী দারুল উলূম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ ইব্রাহিম, আলোর প্রভাতের চেয়ারম্যান মাওলানা আরিফুল্লাহ শাহী, যুব কাফেলার সেক্রেটারি মাওলানা তৈয়ব, হাফেজ হাসান মোস্তফা, হাফেজ তকী উসমান, হাফেজ মাওলানা তৌহিদুল্লাহ আমিন, মাওলানা আবদুর রহীম, মুহাম্মাদ শাহাবুদ্দীন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। নারী ও শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনের মতো জঘন্য সব কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন, নারীর সুরক্ষায় দেশে যে আইন বিদ্যমান আছে, সেসব আইনের যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। ফলে নির্যাতনকারীরা নির্যাতন করতে আর ভয় পায় না। আর ধরা পড়লেও আইনের ফাঁকফোকর গলে তারা পার পেয়ে যাচ্ছে।
এতে বক্তারা আরও বলেন, এখন পর্যন্ত কেনো আসামীকে ফাঁসি দেয়া হলো না। তাদেরকে যারা সাহায্য করেছে তারা কেন এখনো বাইরে ঘোরাঘুরি করছে। ধর্ষণকারীদের দ্রুত ফাসির রায় কার্যকর করা হোক এবং সেদিনের ঘটনার সাথে আরো যারা জড়িত আছে বা সহযোগিতা করেছে তাদেরকেও অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত (১৬ মে) শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ওই কোরআনে হাফেজা নারী মাহফিলের ওয়াজ শুনতে বাঁশখালী কালীপুরের পূর্ব পালেগ্রাম এলাকায়। ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার জন্য পূর্ব পরিচিত শহিদুল ইসলামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। কিন্তু শহিদুল ভুক্তভোগী নারীকে সহজে বাড়ি যাওয়া যাবে বলে ভিতরের রাস্তা দিয়ে কালিপুর বৈলছড়ির সীমান্ত এলাকা বরকাটার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা মোক্তার, সরওয়ার, নুরুল আলমসহ কয়েকজন তাকে দিন থেকে রাত পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় বাঁশখালী থানা পুলিশ বৈলছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মোক্তার (৪০), মো. সরওয়ার (৩৫) ও মোঃ নুরুল আলম (৩৫) কে গ্রেপ্তার করে।
ওই দিন রাতে ভুক্তভোগী হাফেজার মা
নুরতাজ বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।