বৈলছড়িতে কাভার্ড ভ্যান থেকে সিএনজিতে গ্যাস বিক্রি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
বাঁশখালী টাইমস- বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া এলাকার পুরাতন ব্রিক ফিল্ড সংলগ্ন মাঠের পাশে কাভার্ড ভ্যান থেকে সিএনজিতে বিক্রি করা হচ্ছে গ্যাস। এই গ্যাস সিএনজি অটোরিকশায় দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে একটি বিলে মাটি ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে ব্যবহার উপযোগী স্থান। সেখানে একটি কার্ভাভ ভ্যানে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে গ্যাস। এই কাভার্ড ভ্যান থেকে লাইন ধরে সিএনজিগুলো গ্যাস নিচ্ছে। রাস্তার একপাশে দীর্ঘ লাইন হয়ে যায় সিএনজির।
এমনভাবে রাস্তার পাশে সিএনজি রাখার ফলে ছোট হয়ে পড়েছে চলাচলের রাস্তা। যেকোনো সময় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনিতেই দুটো গাড়ি ক্রস করতে হিমশিম খায়, তার ওপরে এমনভাবে সিএনজি রাখলে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রবল হয়।
তাছাড়া বেশ কয়েকটি সিলিন্ডারেও গ্যাস মজুদ রাখা হয়েছে। কর্মরতদের জন্য সেখানে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ঘর। পাশে রোপন করা হয়েছে শাক সবজির গাছ। সিএনজি ড্রাইভার সূত্রে জানা যায়- ৩/৪ দিন ধরে এখানে গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। শহরের তুলনায় এখানে গ্যাসের দাম একটু বেশি। তবে আমাদের জন্য এটা সুবিধাজনক। জানা যায়- গ্লোরি এ্যাগ্রো প্রডাক্টস কামালপুর, হবিগঞ্জ এর উৎপাদিত (CBG) গ্যাস এখানে সাপ্লাই করা হচ্ছে।
এর আগে সাতকানিয়া-পটিয়া-আনোয়ারায় এরকম কাভার্ড ভ্যান থেকে গ্যাস বিক্রির খবর পত্রিকায় এলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিত ব্যবস্থা নিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কারণ, এই উপায়ে গ্যাস নিলে তাতে ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জান-মাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। স্থানীয় সিএনজি ড্রাইভাররা সাময়িক উপকৃত হলেও কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তাতে ক্ষতির পরিমাণই বেশি হবে।
স্থানীয়রা বলছে, অন্য উপজেলায় যেহেতু এই উপায়ে সিএনজিতে গ্যাস নেওয়া বন্ধ করেছে প্রশাসন, তাহলে চেচুরিয়ার এই কাভার্ড ভ্যান থেকে গ্যাস নেওয়া, বিক্রি করাও অবৈধ হবে। তারা চায়, দ্রুত যেন প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।