বেড়িবাঁধের কাজ পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান

খানখানাবাদ প্রতিনিধি : বাঁশখালী ( Banshkhali ) উপজেলা খানখানাবাদ ইউনিয়নে বেড়িবাঁধের কাজ পরিদর্শনে যান  উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ বদরুল হক।

 

বাঁশখালী ( Banshkhali ) উপকূলের খানখানাবাদ ও কদমরসুল গ্রামে ক’দিন আগে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজে শুরু হওয়ায় উপকূলীবাসীর মনে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু ব্লক নির্মাণে যথাযথ নিয়ম মানা হচ্ছে না, নিম্নমানের সিমেন্ট, বালি দিয়ে ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

 

১৯৯১’র ঘূর্ণিঝড় এ  বাঁশখালীর ( Banshkhali ) উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উপকূলের জনগণকে জোয়ার-ভাটার পানিতে জীবন কাটাতে হয়। গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানোর তাণ্ডবে বিধ্বস্থ হয়ে পড়েছিল পুরো উপকূলীয় এলাকা।

 

অর্থ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী

বাঁশখালীর উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করলে সরকার বেড়িবাঁধ নির্মাণে ২০৯ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করে । পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাঁশখালী ( Banshkhali ) কর্তৃপক্ষ  জানায়, উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ ৩৫টি প্যাকেজের প্রথম পর্যায়ে ২টি কাজ শুরু হয়েছে। ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে সাধনপুরের বৈলগাঁও রাতাখোর্দ এলাকায় মাটি ভরাটের কাজ ও প্রায় ৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ বরুমচড়া ৪৬৯ মিটার ব্লকের কাজ এবং গণ্ডামারায় প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ চলছে । পাউবো বাঁশখালীর উপসহকারী বলেন,  কাজের মান ভাল হচ্ছে এবং কোনো ধরনের গাফিলতি হচ্ছে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্নকথা! ব্লক নির্মাণস্থলে গিয়ে দেখা গেছে সস্তা নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ব্লক, মানা হচ্ছে না ব্লক তৈরির নিয়মকানুন। তখন স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছিল, তারা এধরনের কাজে অসন্তুষ্ট।  তারা বলেছে, যেখানে প্রতিবছর পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এই বেড়িবাঁধ সেখানে যদি এমন নিম্নমানের ব্লক বসানো হয়, তাহলে বসানোর চেয়ে না বসানোই ভালো ছিল। এটা আমাদের জীবন-মরণের বাঁধ, এটা নিয়ে কোন গাফলতি সহ্য করা যাবে না।

 

এর পর থেকেই বিভিন্ন সমাজ সচেতন লোক ও জনপ্রতিনিধির আনাগোনা বেড়ে গেছে বেড়িবাঁধের ব্লক নির্মাণ দেখতে।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *