বাঁশখালী টাইমস্ প্রতিবেদনঃ বাঁশখালী তথা চট্টগ্রামের মহীয়সী নারী, বিশিষ্ঠ লেখক, সংগঠক,ইসলামী চিন্তাবিদ ও নারীনেত্রী আলহাজ্ব বেগম রুনু সিদ্দিকী আর নেই। তিনি আজ (বুধবার২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় নগরীর নাসিরাবাদস্থ নিজ বাসভবন কুঞ্জে আফিয়াতে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি চার মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি ১৯৩৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৌলভী মোখতার আহমদ সিদ্দিকীর পূর্বপুরুষ হযরত আবু বকর সিদ্দিকী(রাঃ) এর বংশধর। স্বামী মরহুম ইউ এন সিদ্দিকী ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বাদে জোহর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নগরীর গরিবুল্লাহ শাহ মাজারসংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বেগম রুনু সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম একাডেমির চেয়ারম্যান ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন ও মহাপরিচালক প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল ফখরুদ্দীন, বাঁশখালী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল কবির, বাঁশখালী সাহিত্য পরিষদের আহবায়ক কবি কমরুদ্দিন আহমদ ও সদস্য সচিব আবু ওবাইদা আরাফাত, বাঁশখালী সংবাদের সম্পাদক আরকানুল ইসলাম প্রমূখ।
বেগম রুনু সিদ্দিকী লেখালেখির পাশাপাশি অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি বেশ কয়েকটি বই রচনা করেছেন। এর মধ্যে একাত্তরের স্মৃতি, ভালোবাসার তীর্থ মক্কা ও মদিনা, মম হৃদয়ের ইথারে বিথারে,এসো উল বুনি, তা ধিন তা, নিবেদন, ফুল ফোটে পাখি গায়,নিবেদন, মিলেনিয়াম,বিচ্ছেদের অনলে দগ্ধ হৃদয়ের ভালবাসা, আমেরিকা: দূরের দেশে সুরের টানে, কালের কপোলতলে আগ্রা ও আনন্দভ্রমণ, ছড়াবাগ প্রভৃতি।
সমাজসেবার অংশ হিসেবে বেগম রুনু সিদ্দিকী চট্টগ্রাম একাডেমি, চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব, চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘ, মা ও শিশু হাসপাতাল, বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রাম, নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি মহিলা মাহফিল, ইউএন সিদ্দিকী ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, কালীপুর মুবীদা মোখতার আহমদ সিদ্দিকী জনকল্যাণ সমিতিসহ অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সমাজসেবক উপাধি এবং বিভাগীয় সমাজকল্যাণ ফেডারেশন, ইসলামী ফাউন্ডেশন, আদর্শ বায়তুলমাল তহবিল, সমন্বয় প্রভৃতি সংস্থা কর্তৃক সমাজসেবায় অনন্য অবদানের জন্য স্বর্ণপদকে ভূষিত হন।