বিপদসংকেত এখন ১০!

জিয়া হাসান: বিপদসংকেত এখন ১০! চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জন্য এই সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরের প্রতিটি সাইক্লোন আমি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করি, এর বেশিরভাগই storm2k নামক একটি সাইট এর মাধ্যমে। এই সাইটটি পরিচালিত হয় শীর্ষ আবহাওয়াবিদ ও সাইক্লোন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা।

তারা বিশ্বের সব বড় সাইক্লোনগুলোই পর্যবেক্ষণ করেন, এবং আমার বলতেই হবে যে এই ঘূর্ণিঝড়কে তারা যতটা গুরুত্বের সাথে দেখছে দীর্ঘদিন বঙ্গোপসাগরের অন্য কোনো ঘূর্ণিঝড়কে এতটা গুরুত্বের সাথে দেখেননি।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ কে নিয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরার জন্য ম্যাসেজ বোর্ড এর একটা বার্তাই উল্লেখ করছিঃ

” গত ছয় ঘণ্টা যাবত বাংলাদেশের জন্য যতটুকু খারাপ হতে পারত ততটুকুই হয়েছে”।

১। এর কেন্দ্র ৯১ পশ্চিম এর কাছে, মায়ানমারে আঘাত হানার মত যথেষ্ট পূর্বে নেই।

২। অবস্থা ক্রমশ গুরুতর হচ্ছে।

৩। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে যতটা বলা হয়েছে এটা তার চেয়েও অনেক বড়।

এই তৃতীয় ফ্যাক্টর ই ব্যাপক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতির কারণ হবে।

যদি এর তীব্রতা না কমে যায় তবে এর ভয়াবহতা কমপক্ষে ১৯৮৫ এর ঘূর্ণিঝড় এর মত হবে।

যদিও প্রথম আলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ৪-৫ ফুট হবে কিন্তু এখানকার ধারাভাষ্যকারদের মতে  তা ১০ ফুট হবে যার কারণে ব্যাপক প্রাণক্ষয়ের আশংকার রয়েছে যদি না এখানকার মানুষকে দ্রুত নিরাপদস্থলে সরিয়ে নেয়া হয়।

ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানবে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী ‘ডেল্টা’ অংশে যা তুলনামূলক অধিক সুরক্ষিত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার কিংবা সুন্দরবনের চাইতে দুর্বল।

 

আমরা অনেকেই ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে এই ভেবে  যেহেতু বিগত কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তাই এটাতেও হবেনা।

কর্তৃপক্ষ ৭ নং বিপদসংকেত জারি করেছে কিন্তু এই বিপদসংকেত না ঝড়ের ভয়াবহত প্রকাশ করে যদিও বাতাসের গতি অপেক্ষাকৃত কম, না ভারী বর্ষণের কারণে ভূমিধ্বসের আশংকা প্রকাশ করে।

 

যদি আপনি বা আপনার পরিবার, বন্ধুমহলের কেউ এই সমস্ত এলাকায় থাকেন, দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য সতর্ক করে দিন।

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *