সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া প্রায় এক কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ ফেরত দেওয়ার পর এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে সম্মানিত করেছে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সততার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ওই প্রবাসী বাংলাদেশির নাম মোজাম্মেল হক (৫০)। পেশায় তড়িৎ প্রকৌশলী মোজাম্মেল চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১নং পুকুরিয়া ইউনিয়নের বরুমচড়া গ্রামের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে। আল আইন ৩নং সানাইয়ায় ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড প্লাম্বিংয়ের ঠিকাদারী ব্যবসা রয়েছে মোজাম্মেলের। ২০ বছর যাবত তিনি আমিরাতের আল-আইনে বসবাস করে আসছেন। খবর বিডিনিউজের।
মোজাম্মেল জানান, ১০ নভেম্বর আল আইনের আল-সালামাত রোডের একজন আরবের ঘরে তার লোকজনকে কিছু প্লাম্বিংয়ের ঠিকাদারী কাজ বুঝিয়ে দিয়ে হেঁটে ফিরছিলেন। পথে ফাঁকা রাস্তায় একটি পলিথিনের ব্যাগ পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পান। অন্যের জিনিস ভেবে প্রথমে পাশ কেটে চলে কেটে গেলেও, ‘বিবেকের তাড়না’য় ফিরে এসে ব্যাগটি খুলে দেখেন ১ হাজার দিরহামের নোটের অনেকগুলো বান্ডিল। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা হলেও তা গুণে দেখিনি। গুণতে গিয়ে যদি মনে লোভ-লালসা চলে আসে সেই ভয়ে। দেরি না করে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানাই এবং তাদের কাছে ওই ব্যাগটি হস্তান্তর করি।’ আমিরাত পুলিশ এ ধরনের সৎ কাজের জন্য তাকে অভিনন্দন জানায়। পরে ২২ নভেম্বর ‘সততার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন’ এর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সেখানকার পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ক্রিমিনাল সিকিউরিটি সেক্টরের অধীনে আল আইন পুলিশের পক্ষ থেকে
তাকে সততার সম্মাননা সনদ ও অন্যান্য উপহার দেওয়া হয়। মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পরার্থ কখনোই নিজের না এবং তার প্রতি কোনও মোহ দেখানো চলবে না। আমরা চাইলেই এ ধরনের সততার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করতে পারি।’
পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুড়িয়ে পাওয়া অর্থের প্রকৃত স্থানীয় আরব মালিককে আল আইন পুলিশ খুঁজে পেয়েছে। শিগগিরই আদালতের মাধ্যমে অর্থ মোজাম্মেল হকের উপস্থিতিতে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
Source: আজাদী