ডেস্ক:
চীন, হুই এবং উত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রধান মুসলিম জনগোষ্ঠী। তাদের মধ্যে সবাই আমার মসলিন কাপড় পরিধান করে।
তাছাড়া চীনের অন্যান্য জায়গায়ও মুসলিম ছড়িয়ে পরে। এবং এই জনগোষ্ঠীর জন্য প্রায় ৩৫০০০ হাজারের মত মসজিদ রয়েছে। তাদের মধ্যে সংখ্যালগুদের মধ্যে এখন বেড়ে ৪৫০০ হাজারের মত।
তাদের মধ্যে চীনাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে যায়।
হাজারো মুসলমানের বিক্ষোভের মুখে চীনের পশ্চিমাঞ্চলের নিংজিয়া এলাকার ওয়েইজু গ্র্যান্ড মসজিদ ভাঙার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে একটি সরকারি নথি পড়ে শোনান তাতে বলা হয়, “সরকার আপাতত মসজিদটি ভেঙে ফেলা থেকে বিরতি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই মিনার ও গম্বুজ সংবলিত ওয়েংজু গ্র্যান্ড মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে এটি ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নেয় সরকারি কর্তৃপক্ষ। এই খবর পাওয়ার পর দেশটির মুসলিম জনতা ক্ষোভ ফেটে পড়েন এবং মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং তারা দেশটির পতাকা নিয়ে মসজিদের সিঁড়িতে অবস্থান করেন, কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সরকার কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট ও ফোরজি সেবা বন্ধ করে দেয় এবং ওই এলাকার বাইরের বাসিন্দাদের সেখানে প্রবেশ বন্ধ করে দেন নিরাপত্তা কর্মীরা,তবে বিক্ষোভকালে বল প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকে নিরাপত্তা বাহিনী।
বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের বক্তব্য, “সরকারকে শত বছরের এই ঐতিহ্যবাহী মসজিদ স্পর্শ করতে দেওয়া হবে না” আরো জানা গেছে, একটানা বিক্ষোভের মুখে শনিবার কর্তৃপক্ষ মসজিদ ভাঙার সিদ্ধান্ত স্থগিত ঘোষণা করার পর অনেক বিক্ষোভ কারিই ঘরে ফিরে যান। এই দিকে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায, শুক্রবার রাতে নামাজের আগে চীনের পতাকা হাতে মসজিদ ভবনের সিঁড়ি ও এলাকায় বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছেন আর অন্যদিকে পুলিশ সদস্যরা দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
সূত্রঃ এএফপি, বিবিসি।