প্রতিষ্ঠার তারিখঃ-০২/০১ /১৯১৭ ইংরেজী
চট্টগ্রামের দক্ষিনাংশে কর্নফুলী ও শঙ্খ নদী দ্বারা বিছিন্ন এক জনপদ বাঁশখালী ( Banshkhali ) । ইহার উত্তরাংশে অবস্থিত অনতি উচ্চ অশিক্ষিত পশ্চাতপদ জনগনের আধুনিক শিক্ষা লাভের সুযোগসৃষ্টির লক্ষ্যে বাণীগ্রাম রায় পরিবারের তিন সহৃদয় সদস্য প্রয়াত গিরীন্দ্র চন্দ্র রায়,প্রয়াত সুরেন্দ্র চন্দ্র রায় ও প্রয়াত নগেন্দ্র কুমার রায় মহোদয়গনের অক্লান্ত পরিশ্রম,প্রচেষ্টা এবং বদান্যতায় ১৯১১সাল থেকে ৫ম ও ৬ষ্ঠশ্রেণী (যথাক্রমে জুনিয়র বেসিক ও সিনিয়র বেসিক) চালুর মাধ্যমে ১৯১৭ইংরেজী সনের ২রা জানুয়ারী এক পুরাতন ,পরিত্যক্ত মন্দিরকে সংস্কার করে ৭ম শ্রেণী খোলার মাধ্যমে বাণীগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের গোড়াপত্তন হয়। দুই জন সুযোগ্য শিক্ষক এবং সাত জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয় ১৯১৮সালে ৮ম শ্রেণী এবং ১৯১৯সালে ৯ম ও ১০ম শ্রেণী চালু করে যথাসময়ে “কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়” এর মঞ্জুরী লাভের মাধ্যমে ইহা পুর্নাঙ্গ উচ্চবিদ্যালয়ে পরিনত হয়।১৯২১ সালে কলিকাতা বিশ্ববি্দ্যালয়ের অধীনে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় ০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ০৫ জন উত্তীর্ণ হয় ।কালক্রমে বিদ্যালয়ের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।বাঁশখালীর ( Banshkhali ) বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের এমনকি পার্শ্ববর্তীসাতকানিয়া,আনোয় ারা,কুতুবদিয়া,মহেশখালী,রাম ু,উখিয়া থানা হতেও বহু শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন শুরু করে ।
১৯৩২ সালে বিশিষ্ট সহৃদয় ব্যক্তি মরহুম জনাব খান বাহাদুর আবদুল মোমিন তাঁর নিজস্ব “সাঙ্গুএস্টেট” এর অধীনস্ত আট কানি (৩.২০ একর) পাহাড় দান করলে উক্ত পাহাড়ে নির্মিত গৃহে বিদ্যালয় স্থানান্তরিত হয়। বিদ্যালয়ের পূর্বদিকে পাদদেশে খেলার মাঠের জন্য আংশিক ভুমি দান করেন বাঁশখালীর অন্যতম সুযোগ্য সন্তান তত্কালীন আইন পরিষদ সদস্য মরহুম জনাব খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী ।১৯৩৬ সালে পার্শ্ববর্তী এলাকার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ একত্রিত হয়ে তা,বিলুপ্ত পুর্বক একীভুত করে বিদ্যালয়ের নামের সাথে “সাধনপুর” যুক্ত করে “বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়” নামকরন করা হয়।পরবর্তীকালে সরকারী সিদ্ধান্তে “বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়” হিসাবে নামকরন করা হয়।
বিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ হতে সংগৃহিত