বাংলা একাডেমীর নতুন মহাপরিচালক হলেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বরেণ্য কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। পদক্ষেপনিউজ-কে বৃহস্পতিবার দুপুরে খবরটি নিশ্চিত করেছেন কবি নিজেই। বললেন, আজকে সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেলাম।

BanshkhaliTimes

এর আগে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়’ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালকের নাম ঘোষণা করা হয়। যেখানে জানানো হয়, তিন বছর মেয়াদী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

এমন প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক করায় সাধুবাদ জানাচ্ছে কবি ও লেখক সমাজ। অনেকে বলছেন, একজন কবি বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হলেন। এবার মৌলিক সাহিত্য, গবেষণা এবং অনুবাদ সাহিত্যে বাংলা একাডেমীর কাজ করার সুযোগ আরও বাড়বে।

তবে বাংলা একাডেমির কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে এখনই কোনো বক্তব্য দিতে নারাজ হাবীবুল্লাহ সিরাজী। পদক্ষেপনিউজ-কে তিনি বলেন, রবিবার থেকে বাংলা একাডেমিতে অফিস করবো। এদিন সব দায়িত্ব বুঝে নিয়ে বাংলা একাডেমি নিয়ে আমার ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলবো। এই মুহূর্তে টেকনিক্যাল কারণেই কিছু বলতে পারছি না।

আশির দশকে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ’ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখা কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী ২০১৬ সালে একুশে পদক পান। তার আগে ১৯৯১ সালে পান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। এখন পর্যন্ত তার কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৩২টি। কবিতার পাশাপাশি উপন্যাস, প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথাও লিখেছেন তিনি।

কাব্যগ্রন্থ :
দাও বৃক্ষ দাও দিন (১৯৭৫),
মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি (১৯৭৭),
মধ্যরাতে দুলে ওঠে গ্লাশ (১৯৮১),
হাওয়া কলে জোড়া গাড়ি (১৯৮২),
নোনা জলে বুনো সংসার (১৯৮৩),
স্বপ্নহীনতার পক্ষে (১৯৮৪),
আমার একজনই বন্ধু (১৯৮৭),
পোশাক বদলের পালা (১৯৮৮),
প্রেমের কবিতা (১৯৮৯),
কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা (১৯৯০),
সিংহদরজা (১৯৯০),
বেদনার চল্লিশ আঙুল (১৯৯০),
ম্লান, ম্রিয়মাণ নয় (১৯৯২),
বিপ্লব বসত করে ঘরে (১৯৯৯),
ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ণ (১৯৯৯),
জয় বাংলা বলোরে ভাই (২০০০),
সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না (২০০০),
সুগন্ধ ময়ূর লো (২০০০),
নির্বাচিত কবিতা (২০০১),
মুখোমুখি (২০০১),
তুচ্ছ (২০০৩),
স্বনির্বাচিত প্রেমের কবিতা (২০০৪),
হ্রী (২০০৫),
কতো কাছে জলছত্র, কতোদূর চেরাপুঞ্জি (২০০৬),
কাদামাখা পা (২০০৬),
ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই (২০০৮),
শূন্য, পূর্বে না উত্তরে (২০০৯),
ইতিহাস বদমাশ হ’লে মানুষ বড়ো কষ্ট পায় (২০০৯),
একা ও করুণা (২০১০),
যমজ প্রণালী (২০১১),
কবিতাসমগ্র (২০১১),
আমার জ্যামিতি (২০১২)

ছড়া-পদ্য:
ইল্লিবিল্লি (১৯৮০),
নাইপাই (১৯৮৪),
রাজা হটপট (১৯৯৯),
ফুঁ (২০০১),
ফুড়–ৎ (২০০৪),
এই আছি, মৌমাছি (২০০৮),
মেঘভ্রমণ (২০০৯),
রে রে (২০১০),
ছয় লাইনের ভূত (২০১১),
ছড়াপদ্য (২০১২)

উপন্যাস :
কৃষ্ণপক্ষে অগ্নিকা- (১৯৭৩), পরাজয় (১৯৮৮)

প্রবন্ধ :
দ্বিতীয় পাঠ (২০১০), মিশ্রমিল (২০১২)

স্মৃতিকথা :
আমার কুমার (২০১০)

পদক, পুরস্কার ও সম্মাননা :
যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৭),
আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯),
বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯১),
বিষ্ণু দে পুরস্কার (২০০৭),
রূপসী বাংলা পুরস্কার (২০১০),
কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার (২০১০),
একুশে পদক (২০১৬)

Spread the love

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *