বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে সুদীর্ঘ কালের অংশীদারিত্ব রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এ্যালিসন ব্লেইক বলেছেন, তাই বাংলাদেশের অগ্রগতি মানে ব্রিটেনেরও অগ্রগতি।
তিনি দারিদ্র বিমোচন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জলবায়ু মোকাবেলাসহ উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।
হাইকমিশনার পাহাড়, নদী ও সাগর বেষ্টিত বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রকৃত অর্থে উৎকৃষ্ট স্থান হিসেবে বর্ণনা করেন এবং সে দেশের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের এ অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য অনুপ্রাণিত করবেন বলে জানান।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম চেম্বার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
মাহবুবুল আলম বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে চিটাগাং চেম্বার সর্বদা ব্রিটিশ হাইকমিশনের সহযোগিতা পেয়ে আসছে উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ রপ্তানি বাজার এবং শিক্ষা ও বিনিয়োগের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী রাষ্ট্র।
বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে আরো প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে নির্মিতব্য দু’টি বিশেষায়িত অঞ্চলে সম্ভাবনাময় খাত ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প, প্লাষ্টিক, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক ইত্যাদিতে ব্রিটিশ বিনিয়োগের আহবান জানান।
সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে নিয়মিত বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, এ কে এম আক্তার হোসেন, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. সিরাজুল ইসলাম, এম এ মোতালেব, মো. জহুরুল আলম, হাবিব মহিউদ্দিন, সরওয়ার হাসান জামিল, এস এম শামসুদ্দিন, মো. জাহেদুল হক, ব্রিটিশ হাইকমিশনের হেড অব প্রেস এন্ড কমিউনিকেশন ইউনিট ফৌজিয়া ইউনুস সুলেমান, ডিফেন্স এ্যাটাচে ডোমিনিক স্পেনসার, ডেপুটি ডাইরেক্টর (ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড) সুরাইয়া জাহান, পলিটিক্যাল এ্যানালিস্ট এজাজুর রহমান, ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার আবির বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।