পুরানো কোস্টারগুলো নানা নামে চলে বাঁশখালী সড়কে। একেক সময় একেক নাম দিয়ে চলাচলকারী পুরানো কোষ্টারগুলোর মালিক ও চালকদের দখলে সড়ক। কারণ তাদের ইচ্ছেতেই চলবে সড়কে গাড়িগুলো। আইন তাদের তৈরি করা আছে যখন যেমন তখন তেমন। অদক্ষ লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার,কথায় কথায় খারাপ আচরণ ও বিভিন্ন সময়ে ভাড়া বৃদ্ধি করে গেলেও তা যেন দেখার কেউ নেই। বাঁশখালী সড়কে আধুনিক যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করে ও কোন সুরাহা হয়নি। তার ফলে অকারণে বেড়েছে ৫টাকা ভাড়া। বাঁশখালীতে যাত্রীরা পুরানো এ কোষ্টার ছাড়া কোন গাড়িতেও উঠতে পারবেনা এটা যেন অঘোষিত নিয়ম মালিক ও শ্রমিকদের । ফলে বাঁশখালী সড়ক দিয়ে অর্ধশতাধিক সানলাইন আধুনিক সুবিধাধারী গাড়ি চলাচল করলেও সে গাড়িতে বাঁশখালীর যাত্রীরা উঠতে পারেন না মালিক ও কোষ্টার শ্রমিকদের অঘেষিত নিষেধাজ্ঞার কারণে। এভাবে চলছে বাঁশখালী সড়কে যাত্রীসেবা। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছে বাঁশখালীর সচেতন লোকজন। কি কারণে ৪০/৪৪ কি:মি সড়কের ভাড়া গড়িয়ে ৭০/১০০ টাকা হয়। বাঁশখালী সড়কে পুরানো আমলের কোষ্টারগুলো লাল বোর্ড,স্পেশাল সার্ভিস,সুপার সার্ভিস নামে চলাচল করে থাকে ।একেক সময় একেক নাম ধারন করলেও তারা কোন অবস্থায় যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে পারেনি । উপজেলা সদর জলদী থেকে লাল বোর্ড চট্টগ্রাম শহরের নতুনব্রীজ কিংবা টার্মিনাল ৬০ টাকা নিয়ে যাতায়াত করে । একই স্থান থেকে স্পেশাল সার্ভিসগুলো ৭০ টাকা ভাড়া নিয়ে যাতায়াত করে আর সুপার সার্ভিস একই স্থান থেকে ৮৫টাকা নিয়ে যাতায়াত করে। সুপার সার্ভিসে যাত্রী কম উঠানামা করলেও স্পেশাল সার্ভিসগুলো যখন যেখানে ইচ্ছে যাত্রী নিয়ে থাকে । তার উপর দাঁড় করিয়ে যাত্রী নিয়ে পুকুরিয়া চেকার আসার আগে নামিয়ে দিয়ে কিছুদুর গিয়ে আবারো গাড়িতে তুলে নেয়। আর যারা চেকার তারা চেয়ার থেকে উঠে গাড়ি দেখার তাদের সময় নেই। চেয়ারে বসে উঁকি মেরে একটু দেখে না হয় যেসব লোক থাকে তারা সবাই শ্রমিক হয়ে যায়। আর অন্য সড়কের গাড়িগুলোতে ড্রাইভারের পাশের সিটগুলো খালি থাকলে বাঁশখালী সড়কের গাড়িতে কমপক্ষে ১০/১২ জন যাত্রী ইঞ্জিন অথবা ড্রাইভারের পিছনে আলাদা সিট বসিয়ে এসব যাত্রী নিয়ে থাকে। অধিকাংশ গাড়ির সিটগুলো বসার উপযোগী না হলেও তার উপর নতুন করে সিট বসিয়ে আলাদা যাত্রী নিয়ে থাকে । ৫ টাকা ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে বাস মালিক সমিতির সহ সভাপতি মো: বাদশা কোম্পানী বলেন, গাড়ির নানা ধরনের যন্ত্রপাতির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫ টাকা করে ঈদের আগে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ।তবে সে ভাড়া কখন কমানো হবে সে ব্যাপারে তিনি অবগত নন। তবে সভাপতি হজ্ব থেকে আসলে হয়তো কোন একটা সিদ্ধান্ত হবে। সাধারণ যাত্রীরা জানান বাঁশখালী সড়কে যাত্রী সেবা নিম্নমানের হলেও ভাড়ার ক্ষেত্রে সবার উপরে। বাঁশখালী সড়কে ভাড়া বৃদ্ধি রোধ ও যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাধারণ জনগণ।
সূত্র: আজাদী